কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়ায় আটক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামের মুক্তির দাবি করেছেন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষক।
Advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষক স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়াকে অন্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। শাস্তিস্বরূপ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ একসময় সমাজে শিক্ষকদের এমন প্রতিবাদী ভ‚মিকাকে গৌরবজনক হিসেবেই গণ্য করা হতো। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মতভিন্নতার কারণে কাউকে হুমকি দেয়া হবে, তাকে তার কাজের জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে, তার চাকরিচ্যুতির দাবি উঠবে এটা মেনে নেয়া যায় না। পাবলিকের পয়সায় চলা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কণ্ঠরোধী চর্চা আমাদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
এতে আরও বলা হয়, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ভিন্নমতের ওপর যেভাবে দমন, ভয়ভীতি ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ঘটনাটি তারই অংশমাত্র। আজকে দেশে খুনের আসামির জন্য রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমার আইনটি প্রয়োগ করেন, অথচ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মতপ্রকাশের জন্য জেলে যেতে হয়। আমরা এই হুমকি ও জেলজুলুমের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে শিক্ষক মাইদুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানচ্ছি।
Advertisement
এমএইচ/বিএ