জাতীয় অধ্যাপক অানিসুজ্জামান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সংবর্ধিত করেছে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সামাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমি বিভিন্ন পুরস্কার কমিটিতে থাকি। বিভিন্ন সুপারিশও করে থাকি। এবারের পুরস্কার কমিটিতে (জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচন কমিটি) আমি এ তিনজনের নাম সুপারিশ করেছি। এরপর আর কোনো নামই আসেনি। প্রধানমন্ত্রীও আর কোনো কিছু চিন্তা না করে এখানে স্বাক্ষর করে দেন। কারণ এ তিনজন এত বেশি জনপ্রিয় যে, তাদের নাম প্রস্তাব করার পর আর কোনো নাম প্রস্তাবের প্রয়োজন পড়েনি।
Advertisement
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দীর্ঘ ৬০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের পর দুর্লভ এ সম্মাননা পেয়েছি। যেটি আমি কোনোদিন কল্পনাও করিনি। আজ আমার এ সম্মাননা অর্জনের সময় মনে পড়ছে আমার সেসব শিক্ষকদের, যারা আমাকে তৈরি করেছেন।’
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে আছি এবং যেসব প্রকল্পে হাত দিয়েছি, যেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন আপনারা দেখে যেতে পারবেন। আমি জীবনে বিদেশে যাওয়ার অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি যাইনি। আমাকে অনেকে এখনও জিজ্ঞাসা করে কেন আমি বিদেশে যাইনি? আজ আমার মনে হয়, আমি ওই সময় সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম।’
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘১৯৫৩ সালে ভারত সরকার যখন ড. সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায়কে জাতীয় অধ্যাপক করে, তখন আমার মনে হয়েছিল পাকিস্তানেও যদি জাতীয় অধ্যাপক করা হতো, তাহলে আমার শিক্ষক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পেতেন। আজকে এ সম্মাননা আমার জন্য যেমন সম্মান নিয়ে এসেছে, তেমন দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি দেশকে যা দিয়েছি, দেশ আমাকে তার চেয়েও বেশি দিয়েছে। আমি এর জন্য চিরকৃতজ্ঞ।’
এমএইচ/এসআর/এমএস
Advertisement