ঢাকায় প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল ট্রেন। এই ট্রেন চলবে ঢাকা থেকে কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্ক পর্যন্ত। দেশের প্রথম হাইটেক পার্কের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার।
Advertisement
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬১ কোটি টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি জানুয়ারি’ ২০১৯ থেকে জুন’ ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের মধ্যে শাটল ট্রেন চালুর লক্ষ্যে ২টি (৬ ইউনিটে ১ সেট) ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) সংগ্রহ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব এসেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর যানবাহনের বাড়তি চাপ ও যানজট দূর করা সম্ভব হবে।
তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাত উন্নয়নে দেশে সুষ্ঠু বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। এখানে আইসিটি খাতের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য বিদেশি কোম্পানিকে সুযোগ করে দেয়া হবে। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার জন্য রেলপথ স্থাপন করা হচ্ছে।
Advertisement
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে কালিয়াকৈর যাতায়াত খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। রেলপথে ঢাকা টু কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক রুটে যাত্রীদের স্বল্প সময়ে নিরাপদে ও আরামদায়কভাবে যাতায়াত নিশ্চিত করা যাবে। এজন্য ইতোমধ্যেই কালিয়াকৈরে একটি বি-ক্লাস স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা প্রথমবার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আনতে এদেশেও হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম সভায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তালিবাবাদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ২৩১.৬৮৫ একর অব্যবহৃত জমিতে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে এই জমি হস্তান্তর করে।
এমএ/এমএমজেড/পিআর
Advertisement