রাজনীতি

জাতীয় নয়, জনপরিত্যক্ত আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য মাত্র

সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য জাতীয় ঐক্য নয়, ওটা জনপরিত্যক্ত আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্যের নামে নির্বাচন নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এটা জনগণের কোনো ঐক্য নয়। এটা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত নেতাদের ঐক্য ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। ড. কামাল হোসেন জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিতে পরিত্যক্ত। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু তার নিজের দলেই কোনো গণতন্ত্র নাই। গণফোরামের সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি বলতে পারবেন না। ১৮ বছর ধরে তিনি সম্মেলন ছাড়া সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

হাছান বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দলেরও কখন সম্মেলন হয়েছে তা হয়ত উনার মনে নাই। প্রকৃতপক্ষে এই জোট হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন, ব্যক্তিসর্বস্ব, নামসর্বস্ব এবং রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের একটি জোট। যাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

Advertisement

এ সময় বিএনপি এখন নেতা ভাড়া করছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, আসলে এটি জাতীয় ঐক্য নয়। মুমূর্ষু বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য তারা কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেক নেতাকে ভাড়া করেছে। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বুঝা যাচ্ছে বিএনপি এখন ভাড়াকৃত নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আর কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা ভাড়ায় খাটবেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নানা ধরনের ঐক্য করে কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। আর ২০১৪ সালের চেয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজেরাই পড়ে যাবেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে এই নেতা বলেন, এ সমস্ত ঐক্য করে কোনো লাভ হবে না জেনেও উনারা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে চান। সুতরাং এদের বিরুদ্ধে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাদেক হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন সরকার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/পিআর