ফের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনে নজির গড়ল কলকাতা। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হৃদযন্ত্র এল বাইপাসের ফর্টিস হাসপাতালে। ২৪ বছর বয়সী যুবকের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপতি হলো ৫২ বছরের প্রৌঢ়ের শরীরে। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। তবে প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্র ওই প্রৌঢ়ের শরীরে আদৌ কার্যকরী হচ্ছে কিনা তার জন্য ৯৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
Advertisement
ছয় চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল ওই অস্ত্রোপচার করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দমদম বিমানবন্দরে হৃদযন্ত্র পৌঁছানোর পর মাত্র ১৬ মিনিটেই তা চলে আসে ফর্টিসে। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মাত্র ১৬ মিনিটে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করেছেন সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুলেন্সের চালক। তারপর রাতভর চলেছে অস্ত্রোপচার। সোমবার ভোর তিনটা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। প্রথমে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
তবে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে। হৃদযন্ত্রটি আদৌ সমীরণবাবু নামের ওই ব্যক্তির শরীরে স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কিনা তার জন্য ৯৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরমধ্যে প্রথম ৭২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ৭২ ঘণ্টা কাটলে তারপরই হয়তো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সোমবার বেলা একটাতে সমীরণ দত্তের হৃদয্ন্ত্র প্রতিস্থাপন নিয়ে প্রথম বিবৃতি দেবেন চিকিৎসকরা। তখন প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক সূর্যনারায়ণ রামু পথদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সেখানকার কাঁকিনাড়া অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন কলকাতার সমীরণ দত্ত। ফর্টিসের এক চিকিৎসকই তাকে দেখছিলেন। এর আগে আরও দু’বার হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হয় তার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনও বিশেষ কারণে তা সম্পূর্ণ হয়নি। এবার রামুর মৃত্যুর খবর জানার পরই ফর্টিসের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেন। পরে রোববার রাতেই শুরু হয় অস্ত্রোপচার।
Advertisement
এর আগে চলতি বছরের ২১ মে হৃদযন্ত্রের সফল অস্ত্রোপচার করেছিলেন চিকিৎসক তাপস চৌধুরি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঝাড়খণ্ডের দিলচাঁদ সিং। মুখ না খুললেও সমীরণবাবুর পরিবারের আশা তেমনটাই। তবে বেলা একটার আগে চিকিৎসকদের তরফ কিছুই জানানো হচ্ছে না।
টিটিএন/জেআইএম