খেলাধুলা

ছক্কা মেরে জুটির সেঞ্চুরি পূরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ

উনিশতম ওভারে রশিদ খান প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসার সময় সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের পতনের বার্তা। তার প্রথম ওভারেই ফিরে যান লিটন কুমার দাশ, একই ওভারে রানআউট হন সাকিব আল হাসান। রশিদের পরের ওভারে আবারও রানআউটে কাঁটা পড়েন মুশফিকুর রহিম।

Advertisement

১৮ ওভারে ২ উইকেটে ৭৬ থেকে ২১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৭ রান হয়ে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। চোখরাঙানি দিতে থাকে অল্প রানের গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। সেখান থেকে জুটি গড়ে বাংলাদেশ ইনিংসকে কক্ষে আনেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। যেই রশিদের ওভারে শুরু পতনের, সে রশিদকেই বিশাল ছক্কা মেরে ষষ্ঠ উইকেট জুটির শতরান পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৭ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যে ১২০ রান যোগ করে ফেলেছেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারের বিশতম অর্ধশত করে ৭২ রানে অপরাজিত রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশত থেকে ১ রান দূরে রয়েছেন ইমরুল।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় রেখে এ ম্যাচে ধীরে সুস্থে শুরু করেন লিটন ও শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরতে রাখতে পারেননি শান্ত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে আফতাব আলমের বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রহমত শাহ'র হাতে। ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে।

Advertisement

পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও। মুজিব উর রহমানের ভেতরে ঢোকা বলে বেশ দেরি করে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান।

আগের তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ থাকা লিটন এ ম্যাচে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। উইকেটের চার পাশে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাত্র ৪২ বলে ৪১ রান করে ফেলেছিলেন লিটন। রশিদ খান প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসতেই ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন চার মারেন তিনি।

লোভ সামলাতে না পেরে পরের বলে খেলতে যান সুইপ শট। কিন্তু টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন এহসানউল্লাহ জান্নাতের হাতে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ৪১ রানের সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এক বল পড়েই মুশফিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয় সাকিবের। সরাসরি থ্রোতে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।

এক ওভার পরে আবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এবার ভুল বোঝাবুঝির স্বীকার হন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল কায়েসের ডাকে উইকেটের প্রায় মাঝপথে চলে যান মুশফিক। কিন্তু ইমরুল তাকে ফিরিয়ে দিলে আর ফিরতে পারেননি নিজের ক্রিজে। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায়।

Advertisement

এসএএস/আরআইপি