দেশজুড়ে

অবশেষে মুক্তি পেলেন আইনজীবী ফিরোজ

একটি পরিকল্পিত ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় দীর্ঘ ১২ দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবী ফিরোজ আহমদ।

Advertisement

রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ তার জামিন মনজুর করেছেন। কুতুবুদিয়া সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেস্ট আদালতে ১৭ সেপ্টেম্বর জামিন নামঞ্জুর হলে জেলা জজ আদালতে মিস মামলার (৩৬২৮/২০১৮) ওকালত নামায় স্বাক্ষর করে রোববার জামিন আবেদন করেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মুহাম্মদ আজম।

তার সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রশদি আমিনের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী জামিন আবেদনের পক্ষে এজলাসে দাঁড়ান। এসময় আইনজীবীরা মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এটা উপস্থাপন ও বিশ্বাস যোগ্যতা প্রমাণ করাতে পারায় বিজ্ঞ বিচারক আইনজীবী ফিরোজের জামিন মনজুর করেন। সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোবাইলে কল করে এক নারী মামলার আর্জি বেঁধে দিতে আইনজীবী ফিরোজকে অনুরোধ করেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এর দু’মিনিটের মাথায় মুখ ঢেকে রাখা চার নারী কুতুবদিয়া উপজেলা সদরের চেম্বারে গিয়ে তাদের অভিযোগ শুনান আর তিনি (ফিরোজ) তা নোট করছিলেন। হঠাৎ নারীরা দাঁড়িয়ে তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও এলোপাতাড়ি প্রহার শুরু করেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আইনজীবী ফিরোজ চেয়ারেই বসা ছিলেন। নারীরা দ্রুত বেরিয়ে তাদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে চিল্লা-ফাল্লা করেন। এরপরই একদল লোক ব্যানার সহকারে মিছিল করে। এরই মাঝে পুলিশের এক এসআই এসে নিরাপত্তার কথা বলে থানায় নিয়ে যান আইনজীবী ফিরোজকে। রাত ১০টার দিকে জানানো হয় তাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর আর্জি লিখে মামলা নথিভূক্ত করে ফিরোজকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর জের ধরে ১৬ সেপ্টেম্বর সহকর্মীকে সাজানো মামলা থেকে মুক্তি দিতে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) ফটকে কুতুবদিয়া আদালতের কার্যক্রম বর্জন করে মানববন্ধন করেন উপজেলা আইনজীবী সমিতি নেতৃবৃন্দ। সেখানে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দও একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন। পরে আইনজীবীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আদালত কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/জেআইএম