রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীসহ দেশজুড়ে নির্মাণাধীন ২৮টি হাইটেক পার্কে সরাসরি কাজের সুযোগ পাবে তিন লাখ মানুষ। পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
Advertisement
রোববার দুপুরে রাজশাহীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্পের কয়েকটি নির্মাণকাজের উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর সভাপতি লিটন। আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই পুরোপরি কার্যক্রম শুরু করবে তথ্য প্রযুক্তিখাতের বিশাল এ হাইটেক পার্ক।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অপ্রচলিত খাতে উন্নয়ন কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ থেকে ১০ বছর আগে আমরা যেটা ভাবতে পারিনি, সে সমস্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সারা বিশ্বের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, তোমরা যেটা করেছ, আমরাও সেটা পারি, আগামীতেও করব। আগামী ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ধনী দেশে রূপান্তরিত হবে।
মেয়র আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের আশপাশের এলাকার মানুষদের এখানে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যাদের প্রযুক্তিগত যোগ্যতা আছে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে।
Advertisement
তিনি বলেন, উন্নয়নের অগ্রাযাত্রা অব্যাহত রাখতে আবারও শেখ হাসিনা সরকার দরকার। এই কথাটি আমরা সবাই মিলে চারদিকে ছড়িয়ে দেব। আমাদের যার যেখানে আত্মীয় স্বজন আছে, তাদেরসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সবাইকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়, ঢাকার বাইরে যে জনগোষ্ঠী আছে, তাদের উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই উক্তিকে বুকে ধারণ করে ঢাকার বাইরের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, শুধু ঢাকা, গাজীপুরে হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে না। ঢাকার বাইরে যে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে আগামী তিন বছরে তিন লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে, রাজশাহীতে হবে ১৪ হাজার মানুষের।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ রহমান ভূঞা ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক প্রমুখ।
Advertisement
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/আরআইপি