শর্ট নোটিশে ঢাকা থেকে উড়িয়ে আনা হলো ইমরুল কায়েসকে। আরব আমিরাতে এসেই একাদশে ডাক পেয়ে গেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। তাকে দলে নেয়া হয়েছে আগের তিন ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দারুণ ফ্লপ করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পরিবর্তে। তবে দুই ওপেনারের জায়গায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। যথারীতি ইনিংস ওপেন করতে নামছেন লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত।
Advertisement
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সর্বশেষ খেলেছিলেন ইমরুল কায়েস। এরপর প্রায় ১০ মাসের অপেক্ষার অবসান হলো তার। নাজমুল ইসলাম অপুর অভিষেক হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটে। তাকে নেয়া হয়েছে পেসার রুবেল হোসেনকে বাদ দিয়ে। অর্থ্যাৎ, একজন পেসার কমিয়ে নেয়া হলো বাড়তি একজন স্পিনার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং নাজমুইল ইসলাম শান্ত দারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তাদের দেখানো পথ ধরে পুরো ব্যাটিং লাইনআপই বিধ্বস্ত হয় আফগান স্পিনারদের সামনে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অলআউট হতে হয়েছিল মাত্র ১১৯ রানে। অথচ বাংলাদেশ খেলেছিল ৪২.১ ওভার। রান তোলার গড় ছিল মাত্র ২.৮২ করে।
পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় দুই ওপেনার। একই পরিস্থিতি হয় পুরো দলের ব্যাটিংয়েরও। যদিও শেষ মুহূর্তে মাশরাফি এবং মিরাজ মিলে রান ১৭৩-এ নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ই সিদ্ধান্ত হয় দুই ওপেনার ইমরুল এবং সৌম্য সরকারকে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেয়ার। যদিও, এই ম্যাচে সৌম্যকে দলে নেয়া হয়নি এবং ইমরুলকে নেয়া হয়েছে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার জন্য। হয়তোবা ইনিংসও ওপেন করতে পারেন তিনি।
Advertisement
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং নাজমুল ইসলাম অপু।
আফগানিস্তান একাদশ : মোহাম্মদ শাহজাদ, ইহসানুল্লাহ, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি, সামিউল্লাহ সেনওয়ারি, আসগর আফগান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, আফতাব আলম এবং মুজিব-উর রহমান।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement