বিনোদন

শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়াকে খুব ভালো লাগে : সাবর্ণী

ক্যারিয়ারের শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও বর্তমানে সিনেমাতেই থিতু হয়ে আছেন কলকাতার সাবর্ণী রায়। স্টার জলসার ‘টাপুর টুপুর’ সিরিয়ালে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। এরপর যুক্ত হয়েছেন সিনেমার সাথে। কাজ করেছেন কলকাতার সিনেমায়।

Advertisement

এরই মধ্যে বাংলাদেশি একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এ নায়িকা। বর্তমান ব্যস্ততা, কাজ ও পরিকল্পনা নিয়ে জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে কথা বলেন তিনি। তাকে নিয়ে লিখেছেন ইমরুল নূর-

জাগো নিউজ : বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই..সাবর্ণী : বাংলাদেশ থেকে কিছুদিন আগেই শুটিং করে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর মুম্বাইতে একটা ব্রান্ডের ফটোশুটে অংশ নিলাম। ২১ সেপ্টেম্বর আমার তৃতীয় ছবি মুক্তি পেয়েছে কলকাতায়। এখন এটার প্রমোশন ও প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত।

জাগো নিউজ : শোবিজে আপনার পথচলা নিয়ে বলুন?সাবর্ণী : আমার কাজের শুরুটা হয় ২০১১ সালে মডেলিং দিয়ে। বিভিন্ন ব্রান্ডের ফটোশুট করেছি। এরপর ২০১২ সালে স্টার জলসার ‘টাপুর টুপুর’ সিরিয়ালের জন্য ডাক পাই। আমার চরিত্রটা ছিলো নেগেটিভ। চরিত্রের নামও ছিলো সাবর্ণী। খুব জেদী একটা মেয়ে, সবসময়ই হৈচৈ করতো। এ চরিত্রটাতে কাজ পরার পর থেকেই আমি পরিচিতি পেতে শুরু করি।

Advertisement

এরপর ২০১৩ সালে ‘সুপারহিট’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এখন পর্যন্ত চারটি ছবি করেছি। এর মধ্যে একটা বাংলাদেশি ছবি ‘ও মাই লাভ’। ২১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে ‘হিরো’ ছবিটি। কলকাতায় দর্শক বেশ ভালো সাড়া দিচ্ছেন। নতুন করে একটা সাউথ ফিল্মে কাজ করেছি। ছবির কাজ এখনও শেষ হয়নি। এ ছবিতে আমার সাথে আছেন দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার নাগার্জুন।

জাগো নিউজ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কাজের শুরুটা কিভাবে?সাবর্ণী : শোবিজে কাজ শুরু করার পর বাংলাদেশে কাজের জন্য অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। ব্যাটে বলে মেলেনি বলে করা হয়নি। আবুল কালাম আজাদ স্যারের ‘ও মাই লাভ’ ছবির গল্প শুনে ভালো লাগায় কাজটি করতে রাজি হয়েছি। বাংলাদেশের চ্যানেল এটিএন বাংলার মার্কেটিং হেড তপন রায় আমাদের আত্মীয় হন। এ ছবির প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার হচ্ছেন তপন রায়ের বন্ধু। একবছর আগে কলকাতায় একদিন উনার সাথে আমার কাজের বিষয়ে মিটিং হয়েছিলো। তখনই তিনি আমাকে তার কাজের জন্য পছন্দ করেন।

জাগো নিউজ : বাংলাদেশে শুটিং করার অভিজ্ঞতা কেমন ? সাবর্ণী : একথায় বলবো খুবই ভালো। তবে একেক জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা একেকরকম। ‘ও মাই লাভ’ ছবির টিম থেকে শুরু করে সবাইকে ভীষণ ভালো লেগেছে। ওখানকার সবাই খুব আন্তরিক। খুব সহজেই সবাইকে আপন করে নেন। আমাকে খুব সাদরে গ্রহণ করেছেন সবাই। পরিচালক থেকে শুরু করে সহশিল্পী যারা ছিলেন সবাই কাজের বিষয়ে সবাই খুব সাপোর্টিভ।

জাগো নিউজ : কলকাতা আর বাংলাদেশের মধ্যে কাজের পার্থক্য কতটা অনুভব করেন?সাবর্ণী : দুই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় একই। তবে টেকনিক্যাল দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও অনেকটা পিছিয়ে। আরও আপগ্রেড হতে হবে। মানের দিক দিয়েও কিছুটা কমতি রয়েছে।

Advertisement

জাগো নিউজ : বাংলাদেশের কোনো সিনেমা দেখা হয়েছে? সাবর্ণী : হ্যা! দেখেছি। বাংলাদেশের শাকিব খানকে আমার ভীষণ পছন্দ। উনার ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ ছবিটা দেখেছি। এ ছবিটা যখন রিলিজ হয় তখন আমি সবেমাত্র কাজ শুরু করেছি ইন্ডাস্ট্রিতে। উনার অভিনয় আর স্টাইল দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এরপর উনার আরও কিছু ছবি দেখেছি। শাকিব খানের মাঝে একটা ভিন্নতা আছে। সত্যিই উনি সুপারস্টার। তখন থেকেই ভেবেছিলাম বাংলাদেশে যদি কাজ করি তবে শাকিবের সাথে একটা ছবি করবো। দেখা যাক সেই সুযোগ মেলে কী না। কিছু আলাপ হয়েছে অগোছালো। শিগগিরই হয়তো ভালো কিছু হয়েও যেতে পারে।

জাগো নিউজ : বাংলাদেশের শুধু শাকিব খানের ছবিই দেখেছেন কি? আর কাউকে ভালো লাগে নি?সাবর্ণী : হ্যা! বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়াকেও আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তার স্টাইল, ফিটনেস, গেটআপ, লুক আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের দেশের জিৎ দার সাথেও বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। তখন থেকেই তাকে দেখি। ভালো লাগে।

এলএ/পিআর