বন্ধুত্ব কোনো সীমানা জানে না। বন্ধুত্বের কোনো ধর্ম-বর্ণ নেই। প্রাণের সঙ্গে প্রাণ মিলিয়ে এগিয়ে চলে এ লাগামহীন সম্পর্ক। স্বাধীনতার সবটুকু দিয়ে সে সম্পর্ক জমে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ যদি ধর্ম কিংবা বর্ণের কালিমা সে সম্পর্ককে ভেঙ্গে চুরামার করে দেয়? যদি বন্ধুত্বের কারণে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় অপরাধীর মতো সাজা পেতে হয়?
Advertisement
আশ্চর্য হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে। মাসখানেক আগে উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ১৩ বছরের এক কিশোরের। এরপর সে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে চকলেট দেয় কিশোর। বিপত্তির শুরু সেখান থেকেই।
ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে চকলেট দেয়ার কথা জানায়। তারা এটা শুনে রেগে যায়। কেননা ওই ছেলেটি সমাজের নিম্ন-বর্ণের। বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেনি তারা। কিশোরীকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মুম্বাইয়ে তার চাচার বাসায়।
শুক্রবার মুম্বাই থেকে তার চাচা গ্রামে এসে কিশোরের বাড়িতে যান। নিম্নবর্ণের হওয়া সত্ত্বেও কেন তার ভাইঝিকে চকলেট দিয়েছে এ নিয়ে কিশোরের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
Advertisement
কথাবার্তা চলাকালীন আচমকাই কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান তিনি। পরে ঘরে তালাবদ্ধ করে কিশোরকে বেধড়ক মারধর করেন। পরিবারের কথা ভ্রুক্ষেপ না করেই উলঙ্গ অবস্থায় বাড়ি থেকে নিয়ে যান কিশোরকে। উলঙ্গ অবস্থাতেই পুরো গ্রাম ঘোরানো হয় কিশোরকে। এরপর কিশোর মারাত্মক অসুস্থ হলে স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরের পরিবার। পুলিশ এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫২, ৩২৩ ও ৫০৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসএ/এসআইএস/আরআইপি
Advertisement