বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণে যে আন্দোলনের ডাক এসেছে তাতে প্রমাণিত হয় আগামীতে এই সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হতে যাচ্ছে সে আন্দোলনে সরকারকে শুধু পদত্যাগ নয়, লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হবে।’
Advertisement
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, সুস্বাস্থ্য কামনা এবং সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য- জেলে যাওয়ার আগেই বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন এবং নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োগ করার পাশাপাশি, ইভিএম ব্যবহার না করা, সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে গতকাল দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আমাদের দল এই দাবির সাথে একমত পোষণ করেছে।’
Advertisement
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার এই আইন পাস করেছে, কারণ সাংবাদিকরা যাতে সত্য নিউজ প্রকাশ করতে না পারে। সরকারের বিরুদ্ধে যেন না লিখতে পারে। সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর অভিযোগ করেছেন- যেন এই আইনে রাষ্ট্রপতি সই না করেন। আমরা সাংবাদিক নেতাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাই।’
সরকার বিরাগের বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, তাদের শত্রু না। কিন্তু বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকার যে আচরণ করছে তা শত্রুতামূলক। বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ তাকে যদি এখন সুচিকিৎসা না দেয়া হয় তাহলে তার প্যারালাইজডসহ চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
নজরুল বলেন, ‘আমরা বারবার সরকারের কাছে তার চিকিৎসার কথা বলা সত্ত্বেও সরকার এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। জনগণের পক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে থাকার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় আজ কারাবরণ করতে হয়েছে।’
বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী গৃহহীন উল্লেখ করে নজরুল বলেন, ‘বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। যারা মৃত তাদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত মামলা দেয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের পরিবারের পিতা-মাতাকে পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হচ্ছে।’
Advertisement
নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং এই সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহম্মেদ তালুকদারের সভাপত্তিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, শাহাবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/বিএ/আরআইপি