খেলাধুলা

‘আগামী বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দিকে চোখ রাখতেই হবে’

বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তানের উত্থানটা চোখে পড়ার মতো। কয়েক বছর আগেও যাদের গোণায় ধরতো না কেউ, সেই দলটিই এখন ঘাম ছুটিয়ে ছাড়ছে বড় দলগুলোর। এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের উন্নতিটা আরও শক্ত করে দেখাচ্ছে আফগানরা। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ মনে করছেন, আগামী বিশ্বকাপে এই দলটির দিকে নজর রাখতেই হবে সবারকে।

Advertisement

গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলকে হেসেখেলে হারিয়েছে আফগানিস্তান। সুপার ফোরে এসে তারা ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকেও। আরব আমিরাতের মাঠে এবারের এশিয়া কাপে যে দলটিকে ফেবারিট মনে করা হচ্ছে, সেই পাকিস্তান আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে এসে ৩ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে।

আফগানিস্তানের বড় শক্তি তাদের স্পিন আক্রমণ। রশিদ খান শুধু লাইন লেন্থ বজায় রেখেই বল করেন না; তাদের খেলা যেন অসম্ভব। বড় বড় ব্যাটসম্যানরাও নাকানি চুবানি খাচ্ছেন এই স্পিনারের কাছে। স্পিন অপশনে আরও আছেন মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি। পেস বোলিংয়ে আছেন আফতাব আলমের মতো নিয়মিত পারফরমার।

আগে ব্যাটিংয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল আফগানিস্তান। নতুন কোচ ফিল সিমন্স দায়িত্ব নেয়ার পর এই ডিপার্টমেন্টেও চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ সময়ে এসে বেশ কয়েকটি উইকেট না হারালে ২৫৭'র বদলে পৌনে তিনশ রান হয়ে যেত আফগানদের। সেক্ষেত্রে জয় পাওয়া কঠিনই হতো পাকিস্তানের।

Advertisement

আফগানিস্তানের এই উন্নতিটা চোখ এড়াচ্ছে না কারও। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ তো বলেই দিলেন, আগামী বিশ্বকাপে আলাদা করে নজর রাখতে হবে এই দলটির দিকে।

রশিদের ভাষায়, ‘আফগানিস্তান এমন একটি দল, যাদের দিকে নজর রাখতে হবে আগামী বিশ্বকাপে। বর্তমানে তাদের বিশ্বমানের স্পিনার আছে। রশিদ খান এই দলটির শক্তিমত্তার চাবিকাঠি। চোটগ্রস্থ পেসাররা ফেরার পর, আফগানিস্তান দলকে হারানো কঠিন হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা সেরা ক্রিকেট খেলছে। তাদের যে সিস্টেম আছে, তাতে উঁচু মানের খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে দুইবার হারিয়েছে। তারা যখন এই দলে ঢুকবে, আফগানরা আরও শক্তিশালি হবে।’

এমএমআর/এমএস

Advertisement