চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সরকারের কাছ থেকে নেয়া গাড়ি কেনার ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি কেউ অক্ষম (মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু) অবস্থায় অবসরে গেলে তাকেও ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরিবারের কাছ থেকেও এ টাকা আদায় করা হবে না।
Advertisement
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি এমন বিধান অন্তর্ভূক্ত করে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র মতে, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ির সুদমুক্ত ঋণের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সুবিধা দিয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।
খসড়া গেজেটে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় যেসব কর্মকর্তা ঋণ পরিশোধ না করেই মারা গেছেন, তাদের পক্ষ থেকে ঋণ ও সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি বরাবর এ আবেদন করতে হবে। পরে ওই কমিটি তাদের ঋণ ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবে।
Advertisement
২০১৭ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য এককালীন সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আরেকটি গেজেটে উল্লেখ করা হয়, সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব ছাড়াও বিসিএস (ইকনোমিক) ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান বা তার উপরের কর্মকর্তা এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান (ড্রাফটিং) থেকে তার উপরের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার সুবিধা পাবেন। তবে এসব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা এ ঋণ সুবিধা পাবেন না।
ওই গেজেটে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়া ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ না করলে আসলের সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। কর্মকর্তারা সমপরিমাণ ১২০টি কিস্তিতে সুদবিহীন এ ঋণ পরিশোধ করবেন।
এমইউএইচ/এমএমজেড/এমএস
Advertisement