খেলাধুলা

তামিম না থাকা মানেই কি হার বাংলাদেশের!

ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পজিশন ওপেনিং। ওপেনিংয়ে ভালো একটি শুরু মানেই ম্যাচে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া। সেই শুরুটাতেই বারবার হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে যেটা রীতিমত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের। বারবার কেন ফেল করছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা? কারণ খুঁজতে গেলে বেরিয়ে আসবে একটি নাম, তামিম ইকবাল।

Advertisement

না, তামিমের কারণে খারাপ করছে না বাংলাদেশ। সবারই মোটামুটি জানা, এবারের এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচেই কব্জিতে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন এই ওপেনার। আর পরের দুই ম্যাচে ব্যর্থতার বড় কারণ এই ওপেনারের অনুপস্থিতি।

দলে ওপেনারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে অন্য দলগুলোর তুলনায় এই গুরুত্বটা একটু বেশিই বাংলাদেশের বেলায়। কেননা, এখন পর্যন্ত তামিমের কাছাকাছি মানেরও একজন ওপেনার খুঁজে বের করতে পারেনি টাইগাররা। তার বিকল্প পাওয়া তো দূর কল্পনা।

তামিম ইকবালের উপর বাংলাদেশ কতটা নির্ভরশীল, সেটা একটা পরিসংখ্যান টানলেই সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপনি জানেন কি? বাংলাদেশ সর্বশেষ যে ১১টি ম্যাচ হেরেছে, তার একটিতেও ছিলেন না তামিম! ব্যাপারটা যেন এমন, তামিম না থাকা মানেই দলের হার!

Advertisement

আরেকটি পরিসংখ্যান দেখা যাক। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের দিনই ছিটকে পড়েছেন তামিম। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচটির আগ পর্যন্ত মোট ৪৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত তথা ব্যাট করার সুযোগ পায়নি মাশরাফির দল। বাকি ৪৫ ম্যাচে বাংলাদেশের মোট রান ১০২৪৯, অতিরিক্ত এসেছে ৬৩৪। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে এসেছে বাকি ৯৬১৫ রান।

আর বিশ্বকাপের পর থেকে তামিম খেলেছেন ৪২টি ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোয় তার রান ২১৮২। অর্থাৎ দলের প্রায় চারভাগের এক ভাগ রান একাই করেছেন তামিম। বোঝা যায়? এই দলে তার মতো একজন ব্যাটসম্যানের অবদান কতটুকু?

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনও বইছে স্তুতির বন্যা। আবার এই আমরাই তামিমের অফফর্মে তার চাচাকে ডেকে আনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরেকজন তামিম ইকবাল পেতে কতটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, আদৌ আর পাওয়া যাবে কি না; সেই হিসাবটা না কষেই!

এমএমআর/এমএস

Advertisement