আইন-আদালত

হয়রানি বন্ধে রিটার্ন দাখিল সহজ করতে হবে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করের বিস্তৃতি প্রসারে করবান্ধব সংস্কৃতি চালু করতে হবে। জনগণের হয়রানি রোধে রিটার্ন ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের পদ্ধতি সহজ করতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বিকল্প বিরোধের মাধ্যমে কর মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী হলে কর সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে মাসিক পত্রিকা ‘করাদালত’ এর তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বলা হয়, যারা কর দেয় তারাই সমস্যার সম্মুখীন হয়, আর যারা কর দেয় না তাদের কোনো সমস্যা হয় না। এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কর আইন অত্যন্ত ড্রাই এবং জটিল। কর আইন হচ্ছে এমবিগুয়াস। আইন যদি এমবিগুয়াস হয় তাহলে সেখানে স্বেচ্ছারিতার সুযোগ থেকে যায় এবং জনগণ হয়রানির সম্মুখীন হয়। তাই বিদ্যমান কর আইনকে গবেষণা করে আরও সহজ করা হলে জনগণ কর দিতে উৎসাহিত হবে। এ ছাড়া কর ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা এখন সময়ের দাবি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার রাজস্ব আয় বর্ধিত করার উদ্দেশ্যে করনীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এনবিআর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর খাতে আদায়ের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে কাজ করছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এক দশক আগেও এনবিআর আয়কর খাতে রাজেস্বর মাত্র ২০ শতাংশ আদায় করত। ইতোমধ্যে সরকার এ হারকে ৩৫ শতাংশে উন্নীতি করেছে। যা আশাব্যঞ্জক। আশা করি কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিগণিত হবে।’

করাদালত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আইনজীবী আবু আমজাদের সভাতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম ও ট্যাক্সেস ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা।

এফএইচ/এএইচ/জেআইএম

Advertisement