আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তিত্বের নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কৃষক লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে আমরা অবশ্যই উতরে যাব। এ বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস এবং প্রত্যয় থাকতে হবে যে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচন আমাদের বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা, এখানে আমরা যদি কোনোভাবে ব্যর্থ হই এবং পিছিয়ে পড়ি তাহলে স্বাধীনতার শত্রুরা পাকিস্তান ও তাদের দোসরদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) শুধু যে নিশ্চিহ্ন হব তাই নয়, এ উন্নয়ন থাকবে না, এ দেশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হবে। তাই আমাদের এ ভোটযুদ্ধে বিজয় লাভ করতে হবে, বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
Advertisement
আওয়ামী লীগের এ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বলেন, আমাদের উন্নয়নের যে ধারা অব্যাহত রয়েছে, তা ধরে রাখা যেমন জরুরি, বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য দেশের শত্রুরা বারবার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার পর দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয়েছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ওপর। আমাদের ওপর বারবারই আক্রমণ করেছে, আমরা কারও ওপর আক্রমণ করিনি। এ শক্তির চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, আমি তরুণ প্রজন্মের সামনে কথা বলতে চাই সবসময়। তাদের সামনে আমি বাংলাদেশের কথা, দেশপ্রেমের কথা, বীরত্বের কথা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, তাতে তারা সামিল হবে কি-না, জাতীয় সংগীত গাইবে কি না- এসব কিছু আমি তাদের মনের মধ্যে গেঁথে দিতে চাই। এরাই আমাদের নবীন ভোটার। এ তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক মগজ ধোলাই হয়েছে, এখন পাল্টা আরেক রকমের মগজ ধোলাই দিয়ে নিয়ে আসা কঠিন কাজ কিন্তু আমাদের আনতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকই হয়ত প্রার্থী হবেন, কৃষক লীগের ভালো প্রার্থীরাও মনোনয়ন পাবেন। জাতীয় নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে আমাদের সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের লাগবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম না করলে আমরা কিছুতেই সুফল ঘরে তুলতে পারব না।
এইচ টি ইমাম বলেন, আমাদের সম্পর্কে মানুষের ভুলধারণা আছে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও ছিল, এখনও অনেকেই বলে। কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো। আওয়ামী লীগ থাকাকালীন দেশে কোনো সারের সংকট হবে না।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী কৌশল একটাই, তা হলো মানুষের মন জয় করা এবং আমাদের ভালো কাজগুলো তুলে ধরা। আমরা শত্রুর সমালোচনা করবোই, তার আগে আমাদের নিজের ভালোগুলো তুলে ধরবো। আমাদের দলের চিন্তাভাবনা যে কত সুদূরপ্রসারী তা ধরতে হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ, উম্মে কুলছুম স্মৃতিসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা।
এইউএ/বিএ/জেআইএম