বিশেষ প্রতিবেদন

আ.লীগ-বিএনপির গলার কাঁটা জোট-মহাজোট!

আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা কাজ করলেও এরই মাঝে ‘দৌড়ঝাঁপ' শুরু করেছেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে শেষ ঈদে ‘এক ঢিলে দুই পাখি' মেরেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

Advertisement

ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামের শহর-গ্রাম সব স্থানেই চোখে পড়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি- বড় এই তিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রায় প্রতিটি আসনেই বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থিতার ছড়াছড়ি। মন্ত্রী-এমপিরা ঘন ঘন যাচ্ছেন নিজ এলাকায়। ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন তাদের কর্মকাণ্ডের।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক প্রস্তুতি, দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, সর্বশেষ অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, মাঠের অবস্থাইবা কী- এসব নিয়ে জাগো নিউজ’র ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ভোটের বাদ্য’। পঞ্চম কিস্তিতে আজ থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৫’ এর সার্বিক চিত্র।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এম. এ সালাম, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও ইউনুস গনি চৌধুরী

হালদা পাড়ের হাটহাজারী উপজেলা এবং চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ পাহাড়তলী ও জালালাবাদ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৫ আসন। এই সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৩১ হাজার ১৭৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১৮ হাজার ১৫ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৩ হাজার ১৬১।

Advertisement

আরও পড়ুন >> আ. লীগ-বিএনপিতে অস্বস্তি, সুযোগ নিতে চায় জাপা-জামায়াত

এই আসনের কেন্দ্র হাটহাজারী পৌরসভা। প্রবাসী অধ্যুষিত হাটহাজারী উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে রয়েছে দেশের দুটি বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারী মাদরাসা। বিভিন্ন কারণে দেশের রাজনীতিতে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের আলাদা অবস্থান রয়েছে।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম-৫) আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলেই রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। তবে প্রধান দু’দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গলার কাঁটা হয়ে আছেন জোট-মহাজোটের প্রার্থীরা। জোট ভিত্তিক নির্বাচন হলে এখানে দুই বড় দলকে আসনটি তাদের শরিকদের ছেড়ে দিতে হবে, এটা প্রায় নিশ্চিত। জাতীয় পার্টি যদি এবারও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে থাকে তবে এখানে বঞ্চিত হবেন মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতারা। আর বিএনপির জোটে যদি কল্যাণ পার্টি থাকে তবে একই অবস্থা হবে দলটির নেতাদের ক্ষেত্রেও।

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, এস এম ফজলুল হক ও শাকিলা ফারজানা

Advertisement

হাটহাজারী থেকে একাধিকবার এমপি হয়েছেন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বর্তমান সরকারে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তাই আগামী নির্বাচনেও দলের প্রার্থী হবেন তিনি। তবে জোট না হলে তাকে এবার চ্যালেঞ্জ জানাবেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ সালাম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী কিংবা সদস্য মনজুর আলম মনজু।

এখানে বিএনপিতেও রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী। তারা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক এবং সদ্যপ্রয়াত সাবেক এমপি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তবে বিএনপির জোটে থেকে এখানে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের।

দু’দফায় শরিক জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেয়ার পর এবার আসনটিতে দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার জোরালো দাবি রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। তারা বলছেন, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ করেননি। আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে এমপি হলেও জাতীয় পার্টির কোনো প্রভাব নেই হাটহাজারীতে।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারণা

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, দলীয় ভিত্তি এবং মাঠের অবস্থান যাচাই করবেন জোটপ্রধান শেখ হাসিনা। দলে ক্লিন ইমেজ ও তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিও বিবেচনায় আসবে। সেক্ষেত্রে জোট থাকলেও এ আসনে ব্যতিক্রম হতে পারে বলে তাদের ধারণা। এক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে আছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম।

তবে অপর আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুচ গণি চৌধুরীর সমর্থকদের ধারণা, এ আসন থেকে এম. এ সালামের নমিনেশন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি সাধারণ সম্পাদক হলেও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। এছাড়া এম এ সালামের অনুসারীদের মধ্যে হাটহাজারী উপেজেলা আওয়ামী লীগে দুই থেকে তিনটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তারা পরস্পর বেশ কয়েকবার সংঘর্ষেও জড়িয়েছে।

আরও পড়ুন >> আ. লীগে কোণঠাসা মিতা, বিএনপিতে তিন মোস্তফার লড়াই

এদিকে একসময় বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত এ আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। তাদের বিশ্বাস, এখানে জোটের আশীর্বাদ নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি এককভাবেই এ আসনে প্রার্থী দেবে। এজন্য আটঘাট বেঁধে মাঠে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও এস এম ফজলুল হক। প্রার্থী হতে ইচ্ছুক প্রয়াত সাবেক এমপি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাও।

দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত আওয়ামী লীগের সম্ভাব্যপ্রার্থী এম এ সালাম

বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটহাজারী সদর, মেখল, মির্জাপুর, ফতেপুর ইউনিয়ন, ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ও জালালাবাদ ওয়ার্ড এলাকায় মীর নাছিরের প্রভাব বেশি থাকায় তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অপরদিকে, উত্তর হাটহাজারী, দেওয়ান নগর, আলমপুর, ফতেয়াবাদ, মাদার্শা, চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন এলাকায় এস এম ফজলুল হকের জনপ্রিয়তা থাকায় তার মনোনয়নপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এস এম ফজলুল হকের প্রতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরীর সমর্থনও রয়েছে বলে জানা গেছে। এ আসন থেকে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় হাটহাজারীতে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের পরিবার এখনও জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চাইছেন ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।

তবে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। ইতোমধ্যে তিনি জোট থেকে গ্রিন সিগন্যালও পেয়েছেন।

নৌকা প্রতীক পাওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত তিন দশক ধরে হাটহাজারীতে নির্বাচন করছি। যারা মনে করে জাতীয় পার্টি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, তাদের ধারণা ভুল। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করে আসছি। বিগত সময়ে এখানে জাতীয় পার্টির অবস্থান অনেক পাল্টেছে। দল এখানে সংগঠিত। জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছি। আমার বিশ্বাস, এবারও ভোটাররা তা মূল্যায়ন করবেন।’

 ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন এস এম ফজলুল হক

এম এ সালাম বলেন, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে নেত্রীর ওপর। জোট থেকে নির্বাচন করলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মনোনয়ন পাবেন। তারপরও নেত্রী ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন। হাটহাজারী থেকে মনোনয়ন চাইবো। এ লক্ষ্যে আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করে আসছি। দলকে সংগঠিত করেছি। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো।’

ইউনুস গণি চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৪ সালে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে কাজ করতে বলেছিলেন নেত্রী। আমি কাজও করেছিলাম। দলের সিদ্ধান্তে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়াই। জোটের প্রার্থী না থাকলে এবারও আমি মনোনয়ন চাইবো। যদিও মনোনয়ন দলের হাতে, তারপরও আমি আশাবাদী। আর মনোনয়ন পেলে হাটহাজারীর মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবো।’

বারবার এ আসনে বিজয়ী হয়ে আসা বিএনপি এবার হাটহাজারীতে মধুর সমস্যায় আছে। দলীয় বিরোধের পাশাপাশি জোটের শরিকরা এখন তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাদের বিশ্বাস এখানে জোটের আশীর্বাদ নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি এককভাবেই এ আসনে প্রার্থী দেবে।

আরও পড়ুন >> গৃহবিবাদে মহাজোট, হেভিওয়েট প্রার্থী চায় বিএনপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বড় শর্ত। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলে হাটহাজারীতে বিজয়ী হবে বিএনপি। আমি মনোনয়ন পেলে নেত্রীর আস্থার প্রতিদানও দিতে পারবো।'

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘২৩ বছর ধরে গণমানুষের সঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতি করছি। হাটহাজারীতে বিএনপির যে সাংগঠনিক ভিত্তি তা আমার হাতে গড়া। আমার নেতৃত্বে হাটহাজারীতে অনেক ত্যাগী ও দক্ষ নেতা তৈরি হয়েছে। বারবার দলের স্বার্থে নিজের ইচ্ছাকে বলি দিয়েছি। এবার নির্বাচন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। দল থেকে আস্থা রাখলে বিজয় উপহার দেবো।

‘আমি প্রার্থী হলে দলীয় কোন্দল কোনো ফ্যাক্টর হবে না। তবে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা- তা আগে নিশ্চিত করতে হবে।’

এ আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে শাকিলা ফারজানা বলেন, ‘দলের জন্য আমার বাবা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ত্যাগ ও অবদান অপরিসীম। এর আগেও চার দফায় নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকলে বিএনপি থেকে প্রথমে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হত। তাই এলাকায় তার অবস্থান ধরে রাখতে আমি কাজ করছি। এছাড়া দলের জন্য এলাকায় কাজ করতে আমার প্রতি বিএনপির হাইকমান্ডেরও নির্দেশনা রয়েছে।’

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৮ সালে আমি নির্বাচন করেছি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে সেটি হবে দ্বিতীয়। এ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাবেক এমপি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম আমার মামা। সেই সুবাদে তার কর্মপদ্ধতি ও জনমুখী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পরিচিত। চারদলীয় জোটনেত্রীর সম্মতিতে হাটহাজারীতে সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করছি। অবশ্যই আমি এ আসনে জোট থেকে প্রার্থী হতে চাই। তবে বড় দল হিসেবে স্থানীয় একাধিক রাজনীতিবিদ মনোনয়ন চাইতে পারেন। এটা দোষের কিছু নয়। এটি সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চার একটি অংশ্।’

আরও পড়ুন >> আ. লীগের মোশাররফ, ভালো প্রার্থীর খোঁজে বিএনপি

তবে জোট কিংবা মহাজোট যে যেভাবে নির্বাচন করুক, আসছে নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারীতে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কিছুদিন আগে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলটির সম্ভাব্যপ্রার্থী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বৈঠক দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সম্প্রতি কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান হেফাজত আমির। এ বিষয়গুলোর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এখানে ইসলামী ঐক্যজোট থেকে হেফাজতে ইসলাম নেতা মঈনুদ্দিন রুহী ও সমমনা ইসলামী দল থেকে মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। এছাড়া ইসলামী ফ্রন্ট থেকে অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিগত নির্বাচনের ফলাফল

১৯৯১ সাল থেকে পাঁচ দফা নির্বাচনে হাটহাজারী (চট্টগ্রাম-৫) আসনে পরপর তিনবার বিএনপি এবং পরের দু’বার মহাজোটের টিকিটে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এবং ২০০৮ সালে ওয়াহিদুল আলমকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ২০১৮ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পুনরায় নির্বাচিত হন।

[‘ভোটের বাদ্য’র ষষ্ঠ কিস্তিতে থাকছে ‘চট্টগ্রাম-৬’ আসনের সম্ভাব্যপ্রার্থীদের নাম এবং তাদের নিয়ে স্থানীয়দের চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন জাগো নিউজে]

আবু আজাদ/এমএআর/আরআইপি