২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম তদন্ত করে পেলো না। তদন্তকারী কর্মকর্তারা কোথাও সন্দেহবশতও তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করেনি। অথচ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে নজীরবিহীনভাবে আওয়ামী ভাবাপন্ন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে এনে প্রমোশন দিয়ে ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামালায় তারেক রহমানের নাম যুক্ত করেন।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ। হাত-পায়ের ব্যথা আরও বেড়েছে। তার শারীরিক অসুস্থতাকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিতেই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
Advertisement
তিনি বলেন, সরকারি মেডিকেল বোর্ডও বিএসএমএমইউসহ যে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তির সুপারিশ করেছে।
রিজভী বলেন, বিএসএসএমএমইউ যদি এতই বিশেষায়িত ও ইকুইপড হয় তাহলে রাষ্ট্রপতি বারবার চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাচ্ছেন কেন? কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ থেকে চিকিৎসা করে আসলেন কেন? তারা কেন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিলেন না?
তিনি বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশনেত্রীর বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি উপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বইয়ে লিখেছেন সরকারই তাকে পদত্যাগে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেছেন। যদি ভোটারবিহীন ক্ষমতাসীন সরকার দেশের প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে তাহলে প্রশাসন, আইন আদালতকে বাধ্য করে বিচারকের কাছ থেকে মামলা ফেরত এনে সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম জড়ানোতো কঠিন কাজ নয়। গণবিরোধী অবৈধ সরকার যে কোনো কাজই করতে পারে।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমএমজেড/এমএস