ফিচার

তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিলেন জাগো নিউজের রবিউল

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যুদ্ধকালীন সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি দেশের সাংবাদিককে আহ্বান করে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি। তুর্কি পুলিশ একাডেমির তত্ত্বাবধানে ১৩তম প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সহযোগিতায় ছিল তুর্কি সংস্থা টিআইকেএ।

Advertisement

প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ, সার্বিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিপাইন, ক্যামেরুন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, শ্রীলংকা, ইয়েমেন, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা থেকে প্রায় ২২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। আনাদোলু নিউজ এজেন্সি প্রতি বছর এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আঙ্কারায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি রবিউল হাসান অংশগ্রহণ করেন। তিনি ‘আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র মাধ্যমে তুরস্কে যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকতার জন্য ১২ দিনের এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পান।

> আরও পড়ুন- অল্প বয়সেই সফলতার হাতছানি নানজীবার

Advertisement

রবিউল হাসান জানান, প্রশিক্ষণে প্রাথমিক চিকিৎসা, পানিতে বেঁচে থাকা, বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণ, ২০ কি.মি পাহাড়ে পায়ে হাঁটা, পাহাড়ে রাত যাপন ও যুদ্ধকালীন আলোকচিত্র সংগ্রহ, ক্যামেরা আত্মরক্ষা, যুদ্ধের অবস্থা অবলোকন, অংশগ্রহণকারীদের বন্দুকযুদ্ধের কৌশল শেখানো হয়।

তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষণরত সাংবাদিকগণ গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং গুলি ব্যবহার করেন। তাদের বিস্ফোরকের প্রভাব শনাক্তকরণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া শনাক্ত করতে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কোর্সের সব উপাদান মূল্যায়ন করা হয়। এতে যারা সফলভাবে সবপর্যায়ে উত্তীর্ণ হন, তাদের সনদ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণ শেষে আনাদোলু এজেন্সির হলরুমে অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এতে আনাদোলু এজেন্সির ডেপুটি জেনারেল ডিরেক্টর মেতিন মুতানোগলু, পুলিশ একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিহ ইনাল, নিউজ সমন্বয়কারী উমিত সনমেজ, টিকা প্রকল্প সমন্বয়ক একাডেমি অব ডেপুটি সমন্বয়কারী মুস্তাফা হাশিম পোল্যাট বক্তব্য রাখেন।

> আরও পড়ুন- বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের রাশেদের সুনাম

Advertisement

শেষে আনাদোলু এজেন্সির ডেপুটি জেনারেল ডিরেক্টর মেতিন মুতানোগলু প্রশিক্ষণরত সাংবাদিকদের হাতে সনদ প্রদান করেন। সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেনিয়ার বিবিসি নিউজের সাংবাদিক আছলি ও সার্বিয়ার সাংবাদিক ব্রানিমির কজারভ প্রমুখ।

এসইউ/এমএস