ক্যাম্পাস

গণরুমে দুর্ভোগে নবীনরা

চারজনের জায়গায় থাকছেন ১০ থেকে ১২ জন। গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এ কারণেরই এই রুমের নাম হয়েছে ‘গণরুম’। যেখানে জায়গা হয় নবীন শিক্ষার্থীদের। এই গণরুমের দৃশ্য দেখা যায় দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই। এই গণরুমটি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। (শেকৃবি)। আবাসিক হলগুলোতে সিট স্বল্পতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির টিএসসি ভবনের দ্বিতীয় তলায়ও অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে গণরুম। যেখানে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

Advertisement

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, গত প্রায় ৫ মাস যাবত টিএসসিতে ওয়াশরুমের পানির লাইন বন্ধ। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের শৌচকর্ম ও গোসল করার জন্য নিকটবর্তী নবাব সিরাজ-উদ -দৌলা হলে ভিড় জমাতে হচ্ছে। ফ্লোরেই তাদের কোনোরকমে গাদাগাদি করে বেড পাততে হয়েছে। এমনকি পড়াশোনার জন্য নেই কোনো টেবিল, চেয়ারের ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে অনেকের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাও ঘটেছে।

শিক্ষার্থীরা আক্ষেপ করে বলেন, বারবার প্রশাসনের কাছে গিয়েছি কিন্তু কোনো সুফল পাইনি। প্রশাসন আমাদের বলে আমরা তোমাদের টিএসসিতে উঠাইনি। তোমাদের দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না। তাদের কথা শুনে মনে হয়, যেন আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নই।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার না করায় সার্বিক পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনা জমে কটু গন্ধও ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। টাইফয়েড, জন্ডিসসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত ছাত্রের সংখ্যাও দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। এ ছাড়াও নিচ তলায় মাদক সেবনও চলে অবাধে। অন্যান্য হলগুলোর গণরুমের শিক্ষার্থীদেরও বেশ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবাব সিরাজ -উদ -দৌলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইছাক বলেন, প্রশাসনের কাছে বারবার টিএসসির পানির লাইন ঠিক করে দেয়ার কথা বলা হলেও কাজের বিশেষ কোনো অগ্রগতি হয়নি। হলের বর্ধিতাংশের নির্মাণ কাজে আমার অজান্তেই ট্যাংকির পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে পানি সঙ্কট তীব্র হচ্ছে। নির্মাণাধীন হলের কিছু অংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে খুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে বলা হয়েছে, যা সামনে বাস্তবায়ন হবে।

জেডএ/পিআর