দিনের প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনাম ৭ গোলে জয়ের পর গ্রুপ শীর্ষে ওঠার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮ গোল। কিন্তু লাল-সবুজ জার্সিধারীরা মেয়েরা প্রথমার্ধে ৫ গোলে এগিয়ে থেকেও মাঠ ছেড়েছে ৭-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে। যে কারণে ৩টি করে ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হলো বাংলাদেশকে। বড় ব্যবধানের জয়ের পরও এক ধরনের অস্বস্তি এখন বাংলাদেশ শিবিরে।
Advertisement
শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মেয়েরা দ্বিতীয়ার্ধে বৃষ্টির মতো আক্রমণ করেও দুটির বেশি গোল করতে পারেনি। ৭-০ গোলে জেতায় ভিয়েতনামের সঙ্গে পয়েন্ট ও গোল গড় সবই সমান হয়ে গেলো বাংলাদেশের।
৭ মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বল নিয়ে তহুরা বক্সে ঢুকলে তাকে ফেলে দেন আরব আমিরাতের ঘালিয়া রামাধান। উত্তর কোরিয়ার রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে গোল করেন শামসুন্নাহার।
২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আখি খাতুনের ক্রস আনুচিং মগিনির হেড দ্বিতীয় পোস্টে লেগে জালে। যমজ দুই বোন আনাই মগিনি ও আনুচিং মগিনির অসাধারণ কম্বিনেশনে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ৩৫ মিনিটে।
Advertisement
ডান দিক দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস নেন আনাই। তার বোন আনুচিং দর্শণীয় হেডে গোল করেন। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আনুচিং। আনাই মগিনির ক্রস ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে বল যায় আনুচিংয়ের সামনে। দর্শণীয় ব্যাকভলিতে গোল করেন আনুচিং।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আমিরাতের আত্মঘাতি গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৫-০ গোলে। মনিকা চাকমার কর্নার হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান আলিয়া হুমাইদ।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুতেই গোল পাচ্ছিল না সাজেদা, আনুচিংরা। মাঝমাঠে একক প্রাধান্য নিয়ে বারবার আমিরাতের রক্ষণ ভেঙ্গেও গোল আদায় করতে পারছিল না বাংলাদেশ। আমিরাতের গোলরক্ষক হুদা হুসাইন দুর্দান্ত সেভ করে গোল বঞ্চিত করে বাংলাদেশকে। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোল করে বাংলাদেশ। আনাই মগিনি বাম দিক দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ সপ্তম গোল করে ইনজুরি সময়ে। বদলি খেলোয়াড় ইলামনি। এ নিয়ে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট এবং ২৫ গোল করে সমান অবস্থানে ভিয়েতনামের।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/পিআর