এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিক ও মিঠুনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর মাশরাফি-মিরাজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে যাবে টাইগাররা।
Advertisement
কিন্তু হয়েছে তার উল্টোটাই। ‘বার্থডে বয়’ রশিদ খানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ১৩৬ রানের শোচনীয় পরাজয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে টাইগাররা। হতাশাজনক ব্যাটিং ও বাজে ডেথ বোলিংয়ের মাশুল দিয়ে হারতে হয়েছে ম্যাচটি। ম্যাচ শেষে নিজেদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কোনো অজুহাত দাঁড় করাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি।
দলে ছিলেন না তামিম ইকবাল, ঠাঁসা সূচি ও অতিরিক্ত গরমের কারণে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। দলের সেরা তিন খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নামাই কি হারের কারণ ছিলো কি-না জানতে চাওয়া হলে টাইগার অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দেন ম্যাচের একাদশে যারা ছিলেন তারাও যথেষ্ঠ সামর্থ্যবান ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচের কোন অজুহাত দিতে চাই না। যারা খেলেছে ম্যাচে তারাও যোগ্য বলেই স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য ওদেরও আছে। এক্ষেত্রে কোন অজুহাত চলে না। আমাদের পারফরম্যানসই ছিলো হতাশাজনক।’
Advertisement
তবে কি সুপার ফোরের সূচি নিশ্চিত হওয়া কিংবা এই ম্যাচের উপরে সুপার ফোরে কোন প্রভাব না থাকায় হালকাভাবে খেলেছে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবেও মাশরাফি জানিয়ে দেন ম্যাচে মনোযোগ ছিলো অন্য সব ম্যাচের মতোই। তবে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের শেষ দশ ওভারেই ঘুরে গিয়েছে ম্যাচ।
‘আমার কাছে মনে হয় না মনোযোগে ঘাটতি ছিল। জেতার জন্যই নেমেছিলাম ছিলাম আমরা। চল্লিশ ওভার পর্যন্ত আমরা ঠিকঠাকই ছিলাম। তার পর ওরা এগিয়ে গেছে। তবে সংশয় বলতে একটা ব্যাপার ছিল যে আজকে (বৃহস্পতিবার) খেলে আবার কালকে (শুক্রবার) খেলতে হবে। কিভাবে ম্যাচটিকে নেব আমরা, এটি বোঝার ব্যাপার ছিল। তবে হেরে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই।’
এসএএস/এমএস
Advertisement