জাতীয়

বিমানের ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের মধ্যে আবারও অসন্তোষ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্তে হতবাক বিমানের ক্যাজুয়াল (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত) কর্মচারীরা। প্রস্তাবিত জনবল কাঠামোতে ২ হাজার ২০০ শ্রমিকের স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় বৃহস্পতিবার বঞ্চিতরা বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) অফিস ঘেরাও করে। দুপুরে ঘেরাওয়ের সময় সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমান আবারও তাদের স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। এ সময় মশিকুর বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে সিবিএ।

Advertisement

ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন এই সিবিএ নেতা। তিনি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৫০০ শ্রমিকের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানাবেন। ১৫ দিনের মধ্যে দাবি না মানলে ১৬ দিনের মাথায় কঠোর আন্দোলনে যাবে সিবিএ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে সিবিএ। দাবি আদায়ে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ছাড়াও বিমানবন্দরে ধর্মঘটও করে সংগঠনটি। সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় বিমান শ্রমিক লীগ। ওইদিন বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে সিবিএ আয়োজিত সমাবেশে সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমান ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চাকরি স্থায়ী না করলে আন্দোলনে যাওয়ার ডাক দেন। পরবর্তী সময়ে বিমান ম্যানেজমেন্টর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে সিবিএ।

গত মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিমানের ২ হাজার ২০০ জন ক্যাজুয়াল কর্মীর মধ্যে ৭০০ জনের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বাদ পড়ারা ক্ষব্ধ হয়ে আজ আন্দোলনে নামে। দুপুর ১২টায় নিজেদের কাজ বন্ধ রেখে বিমানের ‘সিবিএ’ অফিস ঘেরাও করে তারা। তাদের দাবি, অনতিবিলম্বে তাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে।

Advertisement

আরএম/জেডএ/পিআর