জাতীয়

সরকারি ব্যয়ে হজ পালনে ধর্মমন্ত্রীর জেলা শীর্ষে

সরকারি ব্যয়ে হজ পালনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নিজ জেলা ময়মনসিংহের অধিবাসীরা শীর্ষে রয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৪৬ জন হজ পালন করেছেন এই জেলার মানুষ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬১জন রয়েছেন ঢাকা জেলার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হজে পাঠানো শুরু হয়। গত পাঁচ বছরে এর আওতায় ১ হাজার ৩৩৮ জন বাংলাদেশি হজ পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৪ জন, ২০১৫ সালে ২৬৬ জন, ২০১৬ সালে ২৮৮ জন, ২০১৭ সালে ৩২০ জন এবং ২০১৮ অর্থাৎ চলতি বছরে ৩৪০ জনসহ মোট ১ হাজার ৩৩৮ জন পবিত্র হজ পালন করেছেন।

কামাল আহমেদ মজুমদারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এ বছর হজ এজেন্সিগুলোর অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর তদারকির কারণে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পেরেছেন।

Advertisement

উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, তাদের (বেসরকারকারি হাজী) বিমান ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ফলে ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সবাই হজে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, হজ অফিস এবং হাবের কঠোর তদারকির পরও চলতি বছর হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কিছু কিছু হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালার ৩২(২) অনুচ্ছেদে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এসব শাস্তির মধ্যে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, অর্থদণ্ড ও জরিমানা এবং তিরস্কার ও সতর্ক করা । একই সঙ্গে পর পর তিন বছর কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে তিরস্কার ও সতর্ক করে নোটিশ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট হজ ও ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কোনো ধরণের কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ও হজ প্যাকেজকে আরও যুগোপযোগী করা হবে। এছাড়া মুসল্লিদের হজ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম

Advertisement