বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
Advertisement
একই সঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আইনজীবীরা তার প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
এদিকে গত দুই তারিখের মতো আজও (বৃহস্পতিবার) কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী এ আদালতে উপস্থিত হননি খালেদা জিয়া। পরে কারা কর্তৃপক্ষ এক কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে। কাস্টডি ওয়ারেন্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করেন।
আগের দুই তারিখে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছিল, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক। তবে আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তিনি আসতে ‘অপারগ’ বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ৫৪০-এ ধারায় একটি আবেদন করেছিলেন। আবেদনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে তার অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে পারে।
অন্যদিকে খালেদার আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছাড়া মামলার বিচার কাজ চলতে পারে না। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আজ (২০ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য দিন ধার্য করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
Advertisement
এছাড়া দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
জেএ/এআর/আরএস/আরআইপি