শখের বসে শুরু আর তারপর পেশাদার হয়ে ওঠা- বেশিরভাগ ফটোগ্রাফারের গল্পটাই এমন। আর ফটোগ্রাফার হিসেবে নাম কুড়ানোর জন্য ভালো ছবি তোলার বিকল্প নেই। ভালো ক্যামেরা ও ভালো লেন্সের উপরে পিকচার রেজুলেশন এবং অন্যান্য কোয়ালিটি নির্ভর করে। কিন্তু ছবির এক্সপোজার ও কম্পেজিশন নির্ভর করে ফোটোগ্রাফারের স্কিল বা দক্ষতার উপর। জেনে নিন ভালো ছবি তোলার কিছু টিপস-
Advertisement
আরও পড়ুন: ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো করবেন
শুধু ভালো ক্যামেরা থাকলেই হবে না, নিজের ক্যামেরা হার্ডওয়্যার সম্বন্ধে ভালো করে জানতে হবে। সেইরকম কমপ্যাক্ট (পয়েন্ট অ্যান্ড শুট) ক্যামেরা থাকলেও এর লিমিটেশনগুলো জেনে সেগুলো সম্বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সময় সাবজেক্টকে সিন এর সেন্টারে না রেখে, ভার্টিকালি এবং হরাইজন্টালি দুই-তৃতীয়াংশে রেখে কম্পোজিশন করলে দেখতে ভালো লাগে। অনেক সময় সাবজেক্ট যেদিকে দেখছে, সেদিকে একটু স্পেস রাখলে ভালো হয়।
Advertisement
ছবি তোলার সময় পোর্ট্রেটের বোল্ড কম্পোজিশন বেশি ভালো হয়। আপাদ মস্তক ছবি তোলার চেয়ে আবক্ষ অথবা শুধু মুখের ছবি তোলা বেশি ভালো।
কারো বা কোনোকিছুর ছবি তোলার সময় একই জায়গা থেকে একই এঙ্গেলে সব ছবি না তুলে, এঙ্গেল বদলে বিভিন্ন ছবি তুলে সেখান থেকে বেছে নেয়া উচিত।
ম্যানুয়াল মোডে ছবি তুললে এক্সপোজার পরিবর্তন করা যায়, ডার্ক এবং লাইট শেড বদলে নেয়া যায়। কিন্তু বেসিক পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার ক্ষেত্রে এই সুযোগ পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে সিন মোড প্রপার্টি সিলেক্ট করে ভালো ছবি তোলা যেতে পারে। সবসময় অটো মোডে ছবি তুললে বৈচিত্র পাওয়া যায় না।
লো লাইট বা স্লো শাটার স্পিডে ছবি তুলতে হলে ট্রাইপড ইউজ করলে ছবি শার্প এবং ভালো হয়।
Advertisement
সাবজেক্টের পিছনে কোনো লাইট সোর্স থাকলে সাবজেক্টের সামনের দিক অন্ধকার আসে। সেক্ষেত্রে ক্যামেরার ফ্লাশ ব্যবহার করলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব হয়। সূর্য মাথার উপর থাকলেও সাবজেক্টের মুখ অন্ধকার হয়, তখনও ফ্ল্যাশ করার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে প্রেমের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সাবধান থাকবেন
সানলাইট বা চড়া আলোর উৎসকে সঠিকভাবে ছবিতে ব্যবহার করতে হবে। এই অনুসারেই ছবি তোলার এঙ্গেল সিলেক্ট করা দরকার।
এইচএন/আরআইপি