ঝিনাইদহে বেশ কিছু দিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের ফসলগুলো শুকিয়ে গেছে। আর জমি শুকিয়ে মাটি ধুলাই পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে খরিপ-২ রোপা আমন ধানের জমিগুলো ফেটে চৌচিড় হয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকার কৃষকরা ধানসহ ফসলি জমিতে স্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিচ্ছে। কোথাও আবার স্যালো ১-১.৫ ফুট মাটির নিচেই ইঞ্জিন নামিয়ে পানি উঠাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা।
Advertisement
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৬টি উপজেলায় খরিপ-২ মৌসুমে ৯৪ হাজার ৮’শ ৯৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছে চাষিরা। তবে মৌসুমের শুরুতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশ কিছু দিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের ফসলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ধান চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন আশ্বিন মাস। এক যুগ আগেও এ সময় খাল-বিলে পানি থৈ থৈ করত। আজ সে সব জায়গায় পানিতো নেই-ই। আবাদ করার মত বৃষ্টিপাতও হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্ক রয়েছে।
মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গার ধান চাষি আমির হোসেন বলেন, তিনি প্রায় এক একর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। ধানগুলোতে কেবলমাত্র শীষ বের হচ্ছে। কিন্তু জমির মাটিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে স্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে।
Advertisement
সদর উপজেলার গোপালপুর ক্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ বলেন, যে সকল জমির ধান ছোট বা শীষ বের হয়নি সেখানে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে যে জমির ধানে শীষ বের হয়ে গেছে ধানে দানা বাঁধেনি সেই সকল জমিতে পানি বা মাটিতে রস না থাকলে ফলনে কিছুটা সমস্যা বা কমে যেতে পারে।
আহমেদ নাসি আনসারী/আরএ/আরআইপি