মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, তিনি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আবারও আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। ২০২১ সালের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের লক্ষ্যে তিনি আবারও আলোচনার টেবিলে বসার কথা বলেছেন।
Advertisement
এর আগে গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে বৈঠকের পর একটি নথিতে স্বাক্ষর করেন তারা। এর ফলে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের সূত্রপাত হয়।
কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী, স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে উভয় দেশ তাদের প্রচেষ্টায় অংশ গ্রহণ করবে বলেও একমত হন তারা। এছাড়া গত ২৭ এপ্রিল পানমুনজমের ঘোষণা অনুযায়ী, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার দেয়া অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
Advertisement
এর পরেই এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড বলেন, উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে এখন আর পরমাণু হামলার আশংকা নেই। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচী থেকে সরে আসবে না।
উত্তর কোরিয়া এতো বছর ধরে তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে। এখন তারা সেখান থেকে আসলেই সরে আসবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটি খুবই অস্পষ্ট।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে আন্ত:কোরীয় সামিটে বলা হচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন একটি প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যা-ইন উত্তর কোরিয়ার কয়েক হাজার মানুষের সামনে নজিরবিহীন ভাষণ দিয়েছেন। তিনি তিনদিনের সফরে স্ত্রীসহ বর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
Advertisement
আন্ত:কোরীয় সামিটে কোরীয় দ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের একটি পথ অর্জনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কিম।
এ সম্পর্কে পম্পেও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে আলোচনায় মধ্যস্ততা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে সাক্ষাতের জন্য তিনি উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
টিটিএন/আরআইপি