প্রাক্তণ রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর একটি দিনও মুক্তভাবে রাজনীতি করতে পারিনি, আজও পারছি না। তবে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্ত রাজনীতিবিদ হব।
Advertisement
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু’দিনব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আমাকে জেলে দিয়েছে, আমার পার্টি ধ্বংস করতে চেয়েছে... আমরা তাদের কথা মনে রাখবো। দেশের মানুষও তাদের কথা মনে রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঁচ কোটি ভোটারের কাছে যাব। নতুন প্রজন্মের কাছে কথাগুলো তুলে ধরব। আমার বিশ্বাস তারা ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করবে।’
Advertisement
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা স্মরণ করে এরশাদ বলেন, ‘আমরা সমর্থন না দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেতে পারতো না। কিন্তু তাদের কাছে আমরা সুবিচার পাইনি, আমরা সবার কাছেই প্রতারিত হয়েছি। আমাকে জেলে পাঠিয়ে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও করেছিল।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের বন্ধু নয়। আমাদের প্রকৃত বন্ধু কৃষক, শ্রমিক এবং মেহনতি মানুষ। তাদের জন্যই আমরা রাজনীতি করি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে তাদের সাড়ে পাঁচ হাজার এবং আওয়ামী লীগ ছয় হাজার মামলা তুলে নিয়েছে। তবে আমার নামের মামলাগুলো এখনো চলছে। জেল খেটেছি, কষ্ট পেয়েছি অনেক... আজ উজ্জীবিত জাতীয় পার্টি দেখে মনের সব কষ্ট দূর হয়েছে।’
এরশাদ বলেন, ‘নতুন করে শপথ নিলাম নতুন বাংলাদেশ গড়বো, কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না। এবার আমরা শৃংখলমুক্ত হবোই।’
Advertisement
এর আগে জাতীয় পার্টির দলীয় অ্যাপসের উপর ধারণা দেন চেয়ারম্যানের তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনির।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, জিয়া উদ্দিন বাবলু, মো. আজম খান, এমএ সাত্তার, মো. হাফিজ উদ্দিন, সৈয়দ আবদুল মান্নান, মাহজমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মশিউর রহমান রাঙা, নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, এসএম ফয়সল চিশতী, সোলায়মান আলম শেঠ, অ্যাড. এম রশিদ, নাসরিন জাহান রতনা, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
এইউএ/এএইচ/জেআইএম