ব্লগারদের স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপে উদ্বুদ্ধ না করে বাক স্বাধীনতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একই সঙ্গে ব্লগারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কারীদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার এ সংগঠনটি।বুধবার সকালে প্রকাশিত সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্লগার নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছে, সবার নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। -খবর-বিবিসি বাংলার।একই সঙ্গে বিবৃতিতে সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শক বাংলাদেশে ব্লগারদেরকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না হানার যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার তীব্র সমালোচনাও করা হয়েছে।পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক খানের করা বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে হত্যার হুমকি দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ব্যর্থতা কিংবা খুনীদের ধরতে না পারার বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দিয়ে, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক মন্তব্য করেছেন, `ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া আইন অনুসারে অপরাধ`। যেখানে দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করার নিশ্চয়তা দেয়ার কথা সেখানে পুলিশের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিটি বলছেন, `যারা মুক্ত চিন্তার লেখক তাদের অনুরোধ করছি, আপনারা সীমা অতিক্রম করবেন না। কারো ধর্মীয় অনুভূতি বা বিশ্বাসে আঘাত হতে পারে এমন কিছুই লেখা উচিত নয়`।সংগঠনটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলছেন, এটা খুবই হতাশাজনক। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার হুমকি থাকা সত্ত্বেও ব্লগারদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে শুধু তাই নয়, উল্টো তাদের লেখালেখিতে সেল্ফ সেন্সরশিপ বা আত্ম-নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিচ্ছে।অ্যাডামস আরো বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত ধর্মীয় স্বাধীনতার পাশাপাশি সংবিধান সমুন্নত রাখা এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়াও তাদের দায়িত্ব।বাংলাদেশে এ বছর চার জন ব্লগারের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইসলাম বিরোধী এবং নাস্তিক অভিযোগে চিহ্নিত করে উগ্র মৌলবাদীরা যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা তৈরি করেছিল তাতে এই চারজনেরই নাম ছিল।উল্লেখ্য, `নীলয় নীল` নামে পরিচিত নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে গত ৭ই আগস্ট ঢাকার গোরান এলাকায় নিজের বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয়।আরএস/এমএস
Advertisement