দেশজুড়ে

বগুড়ায় ৩১ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

আর মাত্র দেড় থেকে দুই মাস পরেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীদের বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা। কিন্তু বন্যার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি অভিভাবকরাও এ দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বগুড়া জেলার ৩টি উপজেলায় ৩১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

শিক্ষা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, যমুনা নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল বেষ্টিত এই তিনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সারিয়াকান্দি উপজেলা। এই উপজেলায় সোমবার পর্যন্ত ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১টি ও মাধ্যমিক একটি।

সোনাতলা উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে ধুনট উপজেলায় ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, উপজেলায় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ১০টি বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে প্লাবিত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের উঁচু স্থানে কোনো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদানের চেষ্টা চলছে। এই উপজেলায় মাধ্যমিকে কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুগুমারী এলাকার বাসিন্দা ও এক স্কুলছাত্রের অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার বাকি আর মাত্র দেড়মাস। আর এখনোই বন্যার কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। তারা ভালো ফলাফল করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। শিক্ষকদের উচিৎ এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার।

লিমন বাসার/আরএ/জেআইএম