নির্মম শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসা নারী কর্মীদের বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
Advertisement
তিনি বলেন, সৌদি আরবে ২ লাখের বেশি নারী কর্মী কর্মরত। সেখানে নারীদের মূল সমস্যা আরবি ভাষা না বুঝা ও বলার অক্ষমতা। সৌদি আরবে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, নিগৃহীত নারীদের বেশির ভাগ সৌদি আরব যাওয়ার পরে ভাষাগত, পরিবেশগত, খাদ্যাভাস এবং বাসায় থাকার উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে পালিয়ে সেভ সেন্টারে আশ্রয় নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মাহজাবীন মোরশেদের ৭১ বিধিতে দেয়া নোটিশের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, রমজান মাসে অত্যাধিক কাজের চাপেও কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নেন। পরে দেশে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে আমরা রিয়াদে সৌদি সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছি। এবার ঢাকায় বৈঠকের আয়োজন করছি।
মন্ত্রী বলেন, এ পরিস্থিতিতে নারী কর্মীদের গৃহকর্মী পেশায় আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। বিশেষ করে ২৫-৩৮ বছর বয়সী নারীদের সিলেক্ট করছি। তাদের তিনটি বিষয় শিখতে হবে মোবাইল নম্বর, নিজের নাম ও ঠিকানা। ৩৯টি প্রশিক্ষণ সেন্টারের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এছাড়া নারী কর্মীদের সেদেশের ভাষা, কৃষ্টি-কালচার এবং যে বিষয়ে কাজে যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
Advertisement
এছাড়া কোনো এজেন্সি যাতে বয়স বাড়িয়ে এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া বেশি অর্থের বিনিময়ে কোনো নারী কর্মীকে বিদেশে পাঠাতে না পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিশেষ নজরদারি ও শাস্তির ব্যবস্থা করছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো নারী কর্মী অত্যাচারিত বা নির্যাতিত না হয়। সেজন্য বিদেশে প্রতিটি দূতাবাসে অভিযোগ ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে এবং এইসব সেলকে অভিযোগের ভিত্তিতে নারী কর্মীদের সহায়তা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/এমএস