বিশেষ প্রতিবেদন

ক্ষমতায় আসতে ভারতের দয়া লাগবে না

শ ম রেজাউল করিম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী। চলমান রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি মুখোমুখি হন জাগো নিউজ’র। আলোচনায় বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন, নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার, খালেদা জিয়ার বিচার, উন্নয়ন ও ভারত প্রসঙ্গ উঠে আসে। ‘সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নেবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের শেষটি থাকছে আজ।

Advertisement

জাগো নিউজ : নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির রঙ বদলাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী আপনি?

শ ম রেজাউল করিম : আমার বিশ্বাস বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে তারা বিভিন্নভাবে পানি ঘোলা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি করে বেআইনি দাবি আদায়ের পরিকল্পনা নিতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো পরিকল্পনাই ধোপে টিকবে না।

আরও পড়ুন >> বিএনপিকে শক্তিশালী করতেই ড. কামাল ঐক্য করছেন

Advertisement

জাগো নিউজ : তাহলে ফলাফল কি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতোই হতে যাচ্ছে?

শ ম রেজাউল করিম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আজ উন্নয়নের যে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সেই উন্নয়ন কোনোভাবে ব্যাহত হোক তা মানুষ চাইবে না।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকেই মানুষ ভোট দেবে- এটা আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশের মানুষ আর না খেয়ে থাকে না। নোঙরখানা আর খুলতে হয় না। মানুষ আর বিবস্ত্র থাকছে না। শিক্ষা উপকরণের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী আর স্কুল ছেড়ে যায় না।

এই অভাবনীয় উন্নয়ন রেখে যে দলের শীর্ষনেতা দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন, মানুষ সে দলের ওপর আস্থা রাখবে না। দুর্নীতিবাজ কোনো দলকে মানুষ ফের ভোট দেবে- আমি তা বিশ্বাস করি না।

Advertisement

জাগো নিউজ : হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর এখনও মিলছে। ব্যাংক, শেয়ারবাজার থেকে এই সরকারের আমলেই হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলো- এমন অভিযোগ রয়েছে। ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। এতো এতো উন্নয়নের মাঝেও রাজধানী বসবাসের অযোগ্য বলে জরিপে মিলছে। মানুষ আওয়ামী লীগে ভরসা রাখবে কেন?

শ ম রেজাউল করিম : হ্যাঁ, কিছু সমস্যা তো রয়েই গেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে ছিল। রাজনীতির ময়লা-আবর্জনা রাতারাতি উত্তরণ করা সম্ভব হয় না।

জাগো নিউজ : ১০ বছর ক্ষমতায়; রাতারাতি বলছেন কেন?

শ ম রেজাউল করিম : ১০ বছরে আমাদের অনেক জঞ্জাল দূর করতে হয়েছে। ১০ বছরে আমাদের অর্জন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। মানুষ আজ উন্নত জীবনযাপন করতে চাইছে। তবে সুশাসনের জন্য যে জায়গাগুলোতে আরও উন্নয়নের কথা ছিল, সেখানে ঘাটতি রয়েছে।

জাগো নিউজ : বলা হচ্ছে, সব অর্জন দুর্নীতিতেই ম্লান হচ্ছে। সুশাসন প্রশ্নে সরকার ব্যর্থ কিনা?

শ ম রেজাউল করিম : অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি নেই- এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে দায়মুক্তির যে সংস্কৃতি তা কিন্তু নেই। অপরাধীদের বিচার হতো না, মামলা হতো না। কিন্তু এখন ডেসটিনি গ্রুপের মালিকরা জেলে আছেন। হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিকদের জেল হচ্ছে।

আরও পড়ুন >> একত্রিত হলেই রাজনীতির মাঠে ঐক্য অটুট থাকে না

ক্ষমতাসীন দলের এমপির জামাতার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এমপির কারাদণ্ড হয়েছে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারে ছাত্রলীগকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।

অতীতে আপনি এমন রেকর্ড পাবেন না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমরা ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি।

আর্থিক খাতে দুর্নীতি হয়েছে, আমরা তা স্বীকার করছি। তবে দুর্নীতি যারা করেছেন, তারা কিন্তু পার পাচ্ছেন না। মামলা হচ্ছে। সাজা হচ্ছে। এ কারণেই আমরা বিশ্বাস করি, বিচার ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে নেমে আসবে।

জাগো নিউজ : আপনি বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখছেন। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়েই এখন অধিক প্রশ্ন?

শ ম রেজাউল করিম : বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন। আইন অনুযায়ী কারও নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা রক্ষার কোনো কিছুই আর সরকারের হাতে নেই। সুপ্রিম কোর্ট সব পরিচালনা করছেন। এখন কোনো বিচারক যদি নিজে নিজে আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করেন, তার দায় তো সরকারকে দিতে পারেন না। নিজে থেকে কেউ যদি আওয়ামী লীগ সাজার চেষ্টা করেন, তাহলে সরকার কী করবে?

জাগো নিউজ : দলীয় পরিচয়ে বিচার হচ্ছে বলে অভিযোগ এখন সর্বত্র?

শ ম রেজাউল করিম : গড়পড়তায় কথা বলছে বিএনপি। তারা বলছেন, দলের নেতাকর্মীদের বিনা বিচারে আটক রাখা হচ্ছে। বিএনপি কী বর্বরতা চালিয়েছে, আমরা তা জানি। বিএনপি পরিচয়ে তারা রক্ষা পাবে- এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতে হবেই।

জাগো নিউজ : মাদকবিরোধী অভিযানে ১৫০টিরও অধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ বিশ্ব…

শ ম রেজাউল করিম : আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং একজন আইনজীবী হিসেবে মনে করি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার যদি কেউ হন, তাহলে তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

আরও পড়ুন >> বিএনপির সঙ্গে জোট গঠন এখনও চূড়ান্ত হয়নি

জাগো নিউজ : প্রধানমন্ত্রী বলার পরও হত্যাকাণ্ড ঘটছে, যা তিনিও অবগত...

শ ম রেজাউল করিম : আইনের আশ্রয় নেয়ারও বিধান আছে। ২০০৬ সালে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ করেছিল বিএনপি। ২০০৩ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টের সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দিতেই ওই অধ্যাদেশ করা হয়। যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা কিন্তু নতুন কোনো আইন করেননি। পুলিশ, র‌্যাব- যেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে, তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন।

জাগো নিউজ : র‌্যাবের গুলিতে নিরপরাধ লিমনের পা হারানোর গল্প সবারই জানা। মামলা করে কে হয়রানির শিকার হতে যাবে!

শ ম রেজাউল করিম : আপনার বক্তব্যের একটি অংশের সঙ্গে আমি একমত। তবে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ সুইডেন বা নেদারল্যান্ডস নয়। বাংলাদেশে একজন অপরাধীকে আদালত জিজ্ঞেস করলে সে বলে, আমি কিছুই করিনি। সাজানো সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা বলা হয়। আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে।

আমাদের পুলিশ এখনও পেশাদারিত্বের জায়গায় পৌঁছায়নি। পুলিশকে আমরা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছি। সরকার কী করলে খুশি হবে, তা নিয়েই পুলিশ বেশি ব্যস্ত থাকে।

তবে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক পুলিশ সদস্য জেলে আছেন। অনেকের চাকরি চলে গেছে। আমি আশা করি, প্রশাসন আরও জবাবদিহির আওতায় আসুক।

জাগো নিউজ : আপনি কি মনে করেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলো কোনো এক সময় সরকারগুলোকে জবাবদিহি করতে হবে?

শ ম রেজাউল করিম : কৈফিয়ত নেয়ার সুযোগ এখনই আছে বলে মনে করি। হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া পরিবার এখনই মামলা করতে পারেন। আইনের কোথাও লেখা নেই যে, র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না।

তবে কর্মী হিসেবে আমি অবশ্যই মনে করি, আওয়ামী লীগের আমলে যদি কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটে, তার দায় থেকে আমরা মুক্ত নই।

জাগো নিউজ : বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার বিচার নিয়ে নানা নাটকীয়তা। এখন আদালত বসছে কারাগারে। কী দেখছেন এই বিচারে?

শ ম রেজাউল করিম : খালেদা জিয়া কী কারণে কারাগারে তা সবারই জানা। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। খালেদা জিয়া সর্বশেষ যেদিন আদালতে এসেছিলেন, তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছেন। সাংবাদিকরাও জানেন। তিনি হঠাৎ করে বলে বসলেন, তিনি আর আদালতে আসবেন না।

এই দাম্ভিকতা ঠিক নয়। বিচারের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। আদালতে না আসলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তিনি অনুপস্থিত থাকলেও বিচার তার গতিতে চলবে।

জাগো নিউজ : কারাগারে আদালত বসানোর বিধান নেই, বলছে বিএনপি…

শ ম রেজাউল করিম : খালেদা জিয়া যে জায়গায় আছেন এখন, সেটি পুরাতন কারাগার। তার একটি জায়গায় আদালত বসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন >> ৫ দফা দাবি ও ৯ লক্ষ্য ঘোষণা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের

কারাগারে আদালত বসানোর নজির আগেও ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আদালত এই কারাগারেই বসানো হয়েছিল। এরশাদ সাহেবের বিচার চট্টগ্রামের এয়ারপোর্টে বসানো হয়েছিল। ২১ আগস্টের বিচার কারাগারেই হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য যখন আলিয়া মাদরাসায় কোর্ট বসানো হলো, তখন বিএনপি আদালতে মামলা করেছিল। আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সরকার চাইলে যে কোনো জায়গায় বিচারকার্য চলতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৯/২ ধারায় এ ব্যাপারে স্পষ্ট বলা আছে।

কারাগারে কোর্ট বসানো অসাংবিধানিক বলছে বিএনপি। তাহলে উচ্চ আদালতে গিয়ে রিট পিটিশন করলেই পারেন। বিএনপিতে তো অনেক বড় বড় আইনজীবী রয়েছেন। তারা এই বিচার নিয়ে রাজনীতি করছেন।

কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে খালেদা জিয়ার স্বার্থেই। তিনি আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণের আদালতে দীর্ঘ আট মাস হাজির হননি। অসুস্থতার কারণে যাননি বলে জানিয়েছেন। এখন কোর্ট তার নিজের কাছেই চলে গেছে। তাকে তো আর কষ্ট করতে হবে না।

জাগো নিউজ : খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও তো ধূম্রজাল তৈরি হলো…

শ ম রেজাউল করিম : ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার জন্য একটি চিকিৎসা বোর্ড গঠিত হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেল কর্তৃপক্ষ তার সর্বোচ্চটাই করবেন।

জাগো নিউজ : কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে?

শ ম রেজাউল করিম : বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী চাওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের ঢের আস্থা। সেই সেনাবাহিনী পরিচালিত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা করতে তার আপত্তি কেন? তিনি যেতে চান ইউনাইটেড হাসপাতালে।

জাগো নিউজ : তাতে সরকারের আপত্তি কেন? আইনি জটিলতা আছে?

শ ম রেজাউল করিম : আইনি জটিলতার বিষয় নয়। তিনি কেন একটি বিশেষ হাসপাতালে যেতে চাইছেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, ভিভিআইপি।

ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে বিতর্ক আছে। চিত্রনায়ক মান্নার ভুল চিকিৎসা হয়েছে সেখানে- এমন অভিযোগও আছে। খালেদা জিয়ার মতো একজন ব্যক্তিকে এমন বিতর্কিত হাসপাতালে সরকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে না। তার সুরক্ষার জন্য সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক বলে আমার বিশ্বাস।

জাগো নিউজ : নির্বাচন ঘিরে ফের বিদেশমুখী রাজনীতি। বিএনপি যাচ্ছে নিউইয়র্কে আর আওয়ামী লীগ দিল্লিতে…

শ ম রেজাউল করিম : আমাদের রাজনীতি মোটেও বিদেশনির্ভর নয়। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ভারতের সঙ্গে সব সফল চুক্তি আওয়ামী লীগের সময়ই হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতের সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগই বিদায় করেছে। আওয়ামী লীগ নতজানু রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ভারতের দয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে না।

জাগো নিউজ : ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারত হস্তক্ষেপ করেছিল- এমন অভিযোগ তো আছে?

শ ম রেজাউল করিম : হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এটি ইতিবাচক।

কংগ্রেসের পর বিজেপি যখন ক্ষমতায় আসলো তখন বিএনপি উল্লাস প্রকাশ করলো। এই বুঝি মোদি সরকার খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিচ্ছে! বিজেপি প্রধান অমিত শাহ’র ফোনালাপ নিয়ে মিথ্যাচার করলো বিএনপি। বিজেপি হতাশ করেছে বিএনপিকে।

জাগো নিউজ : এবারের নির্বাচনে ভারতকে কীভাবে পাশে চাইছেন?

শ ম রেজাউল করিম : চাওয়া-পাওয়ার বিষয় নয়। ভারত আমাদের প্রতিবেশী। পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে দু’দেশ আলোচনা করবে। ভারতের সাহায্য নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যাবো- এটি কখনই বিশ্বাস করি না।

এএসএস/এমএআর/আরআইপি