পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ও তাজিয়া মিছিল ঘিরে সুস্পষ্ট হুমকি না থাকলেও সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকি বিবেচনায় পূর্বপ্রস্তুতি রয়েছে। পোশাকে, সাদা পোশাকে, গোয়েন্দা সদস্যদের পাশপাশি নিয়োজিত থাকবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। প্রস্তুত থাকবে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট টিমও।
Advertisement
মঙ্গলবার রাজধানীর লালবাগ থানাধীন হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার শিয়া মতাবলম্বী মুসলমানদের তাজিয়া মিছিলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে হলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে যেতে হবে তল্লাশী পেরিয়ে। থাকবে সিসি ক্যামেরা ও পুলিশের কড়া প্রহরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, এবার তাজিয়া মিছিল ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল পক্ষের সাথে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- নিরাপত্তার স্বার্থে তাজিয়া মিছিলে সব ধরনের ধাতব বস্তু বহন, জিঞ্জির, দা-ছুরি-তলোয়ার, ঢোল-লাঠি খেলা এবং আগুন খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাগ-পোটলা, টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে মিছিলে আসা যাবে না। অপরিচিত কাউকে ব্যাগ নিয়ে তল্লাশি ছাড়া ঢুকতে দেয়া হবে না। ১২ ফুটের বেশি বড় নিশান মিছিলে ব্যবহার করা যাবে না।
Advertisement
মিছিলের ও হোসেনি দালানের স্বেচ্ছাসেবীদের চিনতে আলাদা ‘আর্মব্যাজ’ ব্যবহার করতে হবে। তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে হোসনি দালান থেকে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারীদের মিছিলে ঢোকার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখোমুখি হতে হবে। মাঝ পথে কাউকে মিছিলে যোগদান করতে দেয়া হবে না। এজন্য শিয়া মতাবলম্বী মুসলমানদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হোসনি দালান, বিবিকা রওজাসহ রাজধানীতে মিছিল যাবার প্রত্যেকটি পথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, কৃঞ্চপদ রায়, যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, মফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপ-কমিশনার(সিটি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
Advertisement
জেইউ/এনএফ/জেআইএম