এশিয়া কাপ শুরুর আগে টুর্নামেন্টের সূচি দেখেই জানা গিয়েছে আরো একবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে টাইগারদের। মোকাবেলা করতে হবে রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের স্পিন। দেশ ছাড়ার আগে আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে খেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও অন্যান্য সদস্যরা।
Advertisement
আরব আমিরাত গিয়ে আফগানিস্তান ম্যাচের আগেও এই একই কথা উচ্চারণ করলেন টুর্নামেন্ট শুরুর ম্যাচে ৬৩ রানের অসাধারণ ফিফটি করা মোহাম্মদ মিঠুন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন রশিদ ও মুজিব। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাবীও।
লঙ্কানদের ৯১ রানে হারিয়ে দেয়া ম্যাচে তিন স্পিনার মিলে বোলিং করেছেন ২৬.২ ওভার। মাত্র ৩.৩৫ ইকোনমি রেটে প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আফগান স্পিনারদের এমন দাপুটে বোলিং বাংলাদেশ দলের জন্যও সতর্কবার্তা।
লঙ্কানরা নিজেদের দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের। বৃহস্পতিবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচের আগে রশিদ-মুজিবদের ব্যাপারে খুব বেশি ভাবতে রাজি নন মিঠুন। তার মতে আফগান স্পিনাররা বিশ্বমানের হলেও, তাদের বিপক্ষে রান করা অসম্ভব কিছু নয়।
Advertisement
মিঠুন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তারা (রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান) বিশ্বমানের বোলার। কিন্তু তার মানে এই না যে তারা আনপ্লেয়েবল, তাদের খেলা যাবে না। ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা ্বেশ ভালো দল। তাদের স্পিনারদের ব্যাপারে খুব বেশি ভাবা যাবে না বা চেপে বসতে দেয়া যাবে না। বেশিরভাগ সময়েই এর পরিণাম নেতিবাচকই হয়। আমরা যদি পরিকল্পনা মোতাবেক খেলতে পারি তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ দল। বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে। দলের পরিকল্পনাতেও আছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছা, জানিয়েছেন মিঠুন।
‘অবশ্যই! আমরা আত্মবিশ্বাসী যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। গত ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি আমরা। একইসাথে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। কেননা এছাড়া যেকোনো দল যেকোনো দিন হেরে যেতে পারে।’
দলীয় আলাপের শেষে আসে মিঠুনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ব্যাপারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ইনিংসেই হাঁকিয়েছেন প্রথম হাফসেঞ্চুরি। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সাথে মিলে গড়ে দিয়েছেন জয়ের ভীত। তবে ৬৮ বল ৬৩ রানের ওই ইনিংসকে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বললেও ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট মানতে নারাজ তিনি।
Advertisement
মিঠুন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটাই আমার সেরা পারফরম্যান্স, কারণ এর আগে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো কিছুই করতে পারিনি। আমি খুশি যে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি। এটাও জানিয়ে যে এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। যেহেতু আমি গত ম্যাচে ভালো একটা শুরু পেয়েছি, সেটা এখন ধরতে রাখতে হবে। সে ম্যাচের আত্মবিশ্বাসটা পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে। আমি যদি আমার ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে চাই তাহলে আমাকে অনেক ম্যাচে ভালো করতে হবে। তাই আমার জন্য এখন প্রতিটা ম্যাচই নতুন চ্যালেঞ্জ।’
এসএএস/জেআইএম