প্রতিবন্ধী মন্টু হাজরা কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এবারের এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও তার শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এখন শঙ্কিত তিনি। মন্টু উজিরপুর উপজেলার কুড়লিয়া গ্রামের অনিল হাজরার ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়। মন্টুর মেঝো বোন মিতু হাজরা এইচএসসিতে জলা আইডিয়াল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে লেখা পড়া করছে। মা রীতা হাজরা একজন গৃহিণী। প্রতিবন্ধী মন্টু হাজরা বলেন, আমি আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছি। বর্তমানে অর্থের অভাবে ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারছি না। উপজেলা সদরের একটি দোকানে কাজ করে ওই অর্থ দিয়ে নিজে লেখাপড়ার খরচ জোগায়। সারাদিন দোকানের কাজে ব্যস্ত থাকায় রাতে বেশি লেখাপড়া করতাম। মন্টু আরো জানান, আমার বাবা তেমন কোনো কাজ করতে পারে না। আমি বিএইচপি একাডেমি থেকে এসএসসিতেও ভাল ফলাফল করেছি। নিজে এবং কলেজের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় আমার এই সাফল্য। দরিদ্র পরিবারের ছেলে মন্টু হাজরা এ কৃর্তিত্ব অর্জন করলেও তার ভবিষ্যত স্বপ্ন অন্ধকারে। অর্থের অভাবে তার ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মন্টু লেখাপাড়া করে একজন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবা করতে চায়।এসএস/এমএস
Advertisement