ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন যুবলীগ নেতা আইনুল কাদের নিপু ও জাহিদুল আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Advertisement
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরদঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন শেষে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নিপু ও জাহিদুল। এ পর্যন্ত সুদীপ্ত হত্যার ঘটনায় ১১ জন গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে মোক্তার ও পাপ্পু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে নির্দেশদাতা হিসেবে আইনুল কাদের নিপুর নাম উল্লেখ করেছিলেন মোক্তার ও পাপ্পু।
মোক্তার আদালতে জানায়, সুদীপ্তকে খুনের ঘটনায় সেদিন নগরীর নালাপাড়ায় গিয়ে খুনের ঘটনায় অংশ নেয় যুবলীগ নেতা আইনুল কাদের নিপু, মোরশেদ আলম, মো. আমির হোসেন বাবু, খায়রুল নুর ইসলাম খায়ের, জাহেদুর রহমান জাহিদ ওরফে বেবি জাহিদ, হানিফ, মুরাদ, জিয়াহদ ফয়সাল, রুবেল চশমা রুবেল, মো. রুবেল, বাপ্পী, শামীম, সুমনসহ ১৮ জন। এরা চারটি ভাগে ভাগ হয়েই সুদীপ্তকে বাসা থেকে ডেকে এনে দেশি অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। নালাপাড়ায় যাওয়ার আগে দলগুলো কোথায় থাকবে সেই স্থান ঠিক করে দেয় নিপু। তার নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সুদীপ্তকে বাসা থেকে বের করে এনে পেটায়। চলে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি করে নিরাপদে তারা লালখান বাজারে চলে যায়।
Advertisement
এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নিপু ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি সিটি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং যুবলীগ ক্যাডার দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত বছরের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা সদরঘাট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমএস
Advertisement