অর্থনীতি

বিনিয়োগে থাইল্যান্ডের আকর্ষণীয় গন্তব্য বাংলাদেশ

নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য বাংলাদেশ। তাই এ দেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে থাই ব্যবসায়ীরা জানান, নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থাই ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। তাই থাইল্যান্ড সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের পরিচালনায় এ সভায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এফবিসিসিআই পরিচালকরাসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা অংশ নেন।

Advertisement

অন্যদিকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট থাইল্যান্ড বাণিজ্য প্রতনিধিদলের নেতৃত্ব দেন থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইটিডি)- নির্বাহী পরিচালক মি. মানু সিথিপ্রাসাসানা। এ ছাড়া প্রতিনিধিদলে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বিনিয়োগ প্রমোশন অফিসার আপিপং খুনাকর্নবোদিনতর এবং বিভিন্ন বাণিজ্যখাতের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

সভার দ্বিতীয় পর্যায়ে থাইল্যান্ড থেকে স্বাস্থ্য, কৃষি, সিরামিক, লুব্রিকেন্ট, মোটরসাইকেল, প্লাস্টিক, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ইত্যাদি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর ব্যবসায়ীদের বিজনেস টু বিজনেস (বি-টু-বি) আলোচনা হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বন্ধুপ্রতিম এ দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা যেমন ট্যাক্স হলিডে, রফতানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা, কর্পোরেট কর সুবিধা ইত্যাদি গ্রহণ করে এ দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে থাই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের করতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের দেয়া ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা নেয়ার জন্যও থাই ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।

এ সময় থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলের নেতা মানু সিথিপ্রাসাসানা বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য। থাইল্যান্ড সরকারও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায়।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যৌথ বিনিয়োগ স্থাপনের ক্ষেত্রে তাদের বর্তমান সফর বিশেষ সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য থাইল্যান্ডে রফতানি করে এবং থাইল্যান্ড থেকে ১১৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে।

থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে ওভেন গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, প্রকৌশল পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল। অন্যদিকে থাইল্যান্ড থেকে প্লাস্টিক ও রাবার উপাদান, খণিজ দ্রব্য, বস্ত্র ও বস্ত্র সামগ্রী এবং মেশিনারি আমদানি করে বাংলাদেশ।

এসআই/জেডএ/এমএস