বিয়ে একজন সুস্থ মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন। মানুষের স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্যতা ও চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার অন্যতম উপায়ও বিয়ে। নারী-পুরুষের ভারসাম্যপূর্ণ সুখী জীবন ব্যবস্থা বিয়ের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে। আর এর মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা মানববংশের বিস্তৃত ঘটান।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে যেসব নারীকে বিয়ে করা হারাম তা সুরা নিসার ২০ নং আয়াতে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে।
আবার অনেক নারী-পুরুষই পরস্পরকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু সাময়িকভাবে তারা বিয়ের জন্য বৈধ নয়। অনেকেই না জানার ফলে এ নিষিদ্ধ সময়টিতে বিয়ে করে ফেলে। সাময়িকভাবে যেসব ক্ষেত্রে বিয়ে করা বৈধ নয় তাহলো-
> স্ত্রীর আপন বোনকে বিয়ে করা।যদি স্ত্রী মারা যায় তবে স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা যাবে। স্ত্রী থাকাকালীন সময়ে স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করা যাবে না। যদি তার সঙ্গে দেখা করা জায়েজ নয়। অনেকেই এ ভুলটি করে থাকেন যে, যার সঙ্গে দেখা দেয়া জায়েজ নেই; তার সঙ্গে বিবাহ জায়েজ। এক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম।
Advertisement
> অন্যের সঙ্গে বিয়ের বন্ধন থাকা।কোনো নারী যদি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তবে সে নারীর জন্য অন্য স্বামী গ্রহণ করা হারাম। হ্যাঁ, যখনি কোনো নারী অন্য স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তবেই ইদ্দত পালন করে পুনরায় অন্যকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে।
> তিন তালাক দেয়া স্ত্রীকে বিয়ে।যদি কোনো নিজ স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে সে স্বামী তার ৩ তালাক দেয়া স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করা বৈধ নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওেই স্ত্রীর অন্য কোথায় বিবাহ হয় এবং সে স্বামী কর্তৃক তালাক প্রাপ্ত না হয়।
অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে সে নারীর অন্য কোথাও বিয়ে হবে এবং সে স্বামীর সংসারে স্বাভাবিকভাবে তালাক হয় তবে এ নারীর আগের স্বামীর জন্য হালাল হবে।
আরও পড়ুন > বিয়ের দেনমহর নির্ধারণ করবেন কিভাবে?
Advertisement
মনে রাখা জরুরিচুক্তিভিত্তিকভাবে অন্য কারো কাছে নারীর বিয়ে ও তালাক সম্পাদনে এ নারীর পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হবে না। যাকে সাধারণম মানুষ ‘হিলা’ হিসেবে জানে। বাস্তবে তা এ প্রক্রিয়ায় বিয়ে ‘হিলা’ নয়। বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বিয়ে ও তালাকই হলো মূলত ‘হিলা’।
> শিরকের কারণে বিয়ে।কোনো মুশরিক বা মুশরিকা (নারী-পুরুষকে) মুসলিম নারী-পুরুষের বিয়ে বৈধ নয়। হ্যাঁ, যদি মুশরিক বা মুশরিকা (নারী-পুরুষ) ইসলাম গ্রহণ করে তবে তাদের জন্য মুসলিমের সঙ্গে বিয়ে বৈধ।
> মালিকানা থাকা অবস্থায় বিয়ে।কোনো নারী তার ক্রয় করা দাসের সঙ্গে বিয়ের বন্দনে আবদ্ধ হতে পারবে না। যদিও বর্তমানে দাস প্রথা বিলুপ্ত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষদের সাময়িকভাবে বিয়ের শর্তগুলো যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম