নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ফিরে দেয়ার আকুতি জানিয়েছে তার স্বজনেরা বলেন, রনি যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাকে আদালতে সোপর্দ করুন না হয় আমাদের সন্তান আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কেন তাকে তুলে নিয়েছে এবং তাকে কোথায় রেখেছে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
Advertisement
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে রনি পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে রনির বড় ভাই মহিবুর রহমান রানা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি জানান, তার ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় পারিবারিক কাজে ঢাকা যায়। আর রাত পর্যন্ত ফিরে আসেনি। তবে রাত সাড়ে ১০টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে টেলিফোনে জানায় যে এ মাত্র একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন সাদা পোষাকধারী নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মশিউর রহমান রনিকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রনি। ঢাকা ডিবি পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থায় খবর নিয়ে রনির সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের কেউ রনির সন্ধান দিতে পারছে না।
তিনি জানান, বাবা-মা ও বোন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব রয়েছে। তাই স্বজনদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এছাড়াও বিকেল ৩টায় পুলিশ সুপারে কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে তাদেরকে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয় নিখোঁজের বিষয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সেখানেও অভিযোগ গ্রহণ করেনি। আর নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা রনির খোঁজে প্রথমে ফতুল্লা থানায় পরবর্তীতে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে যাই। কিন্তু সেখানে কেউ আটক নেই বলে জানান।
Advertisement
রনির বিভিন্ন মামলার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি সময়ে রনির বিরুদ্ধে সদর থানা ও ফতুল্লা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ১১টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি জামিনে আছে আর কয়েকটিতে জামিন নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার। এতেই বুঝা যায় সব মামলা রাজনৈতিক। আর সবগুলো মামলায়ও একই অভিযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, নিখোঁজ রনির খালা রাশেদা আক্তার কান্না, রনির খালা জাহানারা বেগম, মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মামাতো বোন ডলি আক্তার, বড় ভাই শেখ মো. আবু সাঈদ রুবেল, ছোট ভাই মহিবুর রহমান রানা, ভাবী সানজিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহাদাত হোসেন/আরএ/জেআইএম
Advertisement