আইন-আদালত

মেঘনা-মেনিখালী নদী ভরাট, স্থাপনা নির্মাণে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মেঘনা-মেনিখালী নদীতে ভরাট, দখল ও স্থাপনা নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদেশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জরিপের মাধ্যমে দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

রোববার পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই নির্দেশ দেন।

রুলে ওই নদীর দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

গত ৩ জুলাই ‘অস্তিত্ব সংকটে নদ-নদী খাল’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘নদী ভরাট করে ইকোনমিক জোন’ শিরোনামে ৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ৯ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি রিট করে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুসারে নদীর জায়গা দখল ও ভরাট সম্পূর্ণ নিষেধ। অথচ নারায়ণগঞ্জে মেঘনা নদীতে ‘আমান ইকোনমিক জোন’ এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাটি ভরাট, অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। তাই রিটটি করা হলে আদালত ওই দুই নদীর জায়গায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এফএইচ/জেডএ/আরআইপি

Advertisement