সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গণপিটুনিতে নিহত ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের (৪০) মরদেহ গ্রহণ করেনি তার পরিবার। এরইমধ্যে রোববার দুপুরে নিহত জলিলের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
Advertisement
কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, চেয়ারম্যান হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল জলিলের মরদেহটি রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে মরদেহটি কালিগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে। তবে তার পরিবারের কেউ মরদেহটি নিতে রাজি হচ্ছে না। রাতে সরকারি কবরস্থানে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তার জানাজাতেও কেউ অংশগ্রহণ করবে বলে মনে হচ্ছে না। এমনকি তার জানাজা নামাজ পড়ানোর জন্য কোনো হুজুরও মিলছে না।
তিনি আরও বলেন, গণপিটুনিতে আব্দুল জলিল নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সাত হাজার মানুষকে আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এসআই রাজীব রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে এ মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
তাছাড়া গণপিটুনিতে নিহত আব্দুল জলিলের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি।
Advertisement
উল্লেখ্য, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হোসেনকে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে শনিবার রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম
Advertisement