শনিবার রাতে হাজার দশেক দর্শকের সামনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠে ট্রফি নিয়ে উল্লাস করলেন মালদ্বীপের খেলোয়াড়রা। অনেক স্বাগতিক দর্শক আপসোস করছিল- ইস! যদি ফাইনালে বাংলাদেশ থাকতো। গ্রুপ পর্বে পরপর দুই ম্যাচ জিতেও বাংলাদেশ পায়নি সেমিফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশের সামনে এমন সুযোগ আবার কবে আসবে, সেটা সময়ই বলবে।
Advertisement
ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায়ে বড় বিতর্ক দল গঠন। বিশেষ করে ক্যাম্পের বাইরে থেকে হুট করে আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের একাদশে ঢুকে যাওয়া ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। নেপালের বিরুদ্ধে সেই সোহেলের হজম করা হাস্যকর এক গোলেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
জাতীয় দলের ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। তিনি কাজও শুরু করেছেন। প্রতিদিনই টিম সংশ্লিষ্ট কারো না কারো সাথে কথা বলছেন। তারপর ব্যর্থতার কারণগুলো সবার সামনে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছে দেশের ফুটবলের এ অভিভাবক।
তদন্ত কতদূর? প্রতিবেদন কবে দেবেন? জবাবে বাফুফে সভাপতি বললেন,‘আমি কাজ করছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এ কয়দিন যাদের সঙ্গেই কথা বলেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন, তাতে তার কাছে টিম ম্যানেজমেন্টের সমস্যাগুলোই বেশি ধরা পড়েছে।
Advertisement
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ভালো খেললো, গোল করলো। সাফে কেন নেপালের কাছে হেরে গেলো? ‘এশিয়ান গেমস ও সাফ দুটি ভিন্ন টুর্নামেন্ট। প্রতিপক্ষও ভিন্ন। এশিয়ান গেমসে খেলার ফরমেশন আর সাফে খেলার ফরমেশন যতটা ভিন্ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেটা মনে হয় হয়নি। কৌশলটা যথাযত হয়নি। এখানে টিম ম্যানেজমেন্টের সমস্যাই দেখছি’- বলছিলেন বাফুফে সভাপতি।
জাতীয় দলে গোলরক্ষকেই বেশি সমস্যা মনে করেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। এশিয়ান গেমসে কাতারের বিরুদ্ধে ইনজুরি সময়ে করা গোলে জয়, সাফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ দিকে করা গোলে জয়ের উদাহরণ টেনে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘স্ট্রাইকাররা শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করে গোল আদায় করতে পেরেছিলেন আগে গোল হজম না করায়। শুরুতেই যদি গোল খেয়ে যায় তখন স্ট্রাইকাররা কী করবে? যা হয়েছে সাফে নেপালের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধে নেপালের বিরুদ্ধে গোল না খেলে হয়তো স্ট্রাইকাররা গোল আদায় করতে পারতো।’
তাহলে কী করার? পরিকল্পনা ঠিকও করে ফেলেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। বর্তমান কোচিং স্টাফে তিনি যোগ করতে যাচ্ছেন আরেকজন বিদেশি। নতুন বিদেশি হবেন গোলরক্ষক কোচ। কোচ জেমি ডে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেই বিদেশি কোচ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে। তবে নতুন বিদেশি গোলরক্ষক কোচ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগে আনার সম্ভাবনা নেই। কারণ, কোচ নির্বাচনে তাড়াহুড়া করতে চান না বাফুফে সভাপতি, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ তো এসেই গেলো। এত তাড়াহুড়া করছি না।’
শুধু বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়েই বসে থাকবে না বাফুফে। গোলরক্ষকদের জন্য বছরব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও থাকবে। ‘২০ জন গোলরক্ষক বাছাই করে তাদের বিদেশি কোচ দিয়ে সারা বছর অনুশীলন করাবো। আশা করি, তাতে গোলপোস্টের নিচের দূর্বলতা দূর হবে’-বাফুফে সভাপতি দলের গুরুত্বপূর্ণ এ পজিশন নিয়ে নতুন ভাবনার কথাই জানালেন।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম