সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানিসমূহের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি ও ই-কমার্স খাত থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। মঙ্গলবার এনবিআর কার্যালয়ে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শুভেচ্ছা জানান। বেসিস সভাপতির নেতৃত্বে বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বেসিসের পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে সাতটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো- সফটওয়্যার ও আইটি কোম্পানি যাতে সরকার ঘোষিত আয়কর অব্যাহতি সহজেই পেতে পারে তার জন্য আয়কর কর্তন বিষয়ক প্রত্যয়নপত্র তুলে দেওয়া অথবা প্রত্যয়নপত্র পাওয়ার উপায় সহজ করা, সরকারের ভ্যাট আদায় সহজতর ও স্বচ্ছ করার জন্য স্থানীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে বড় বড় ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট অটোমেশন চালু করা, গ্রাচুইটি ও ভবিষ্য তহবিলের টাকা বিকল্প বিনিয়োগ (ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইকুইটি) হিসেবে বিনিয়োগ করার সুবিধা দিতে গ্রহণযোগ্য সকল জামানতের তালিকায় বিকল্প ‘বিনিয়োগ তহবিল’ যুক্ত করা ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ক্ষেত্রে ডাবল ট্যাক্সেসন বাতিল করা, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ই-ডেলিভারির মাধ্যমে সফটওয়্যার আমদানির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া, সাইবার নিরাপত্তা বিধানে কম্পিউটার অ্যান্টি-ভাইরাস/সিকিউরিটি সফটওয়্যারকে ডাটাবেজ, অপারেটিং সিস্টেমস ও ডেভেলপমেন্ট টুলসের শ্রেণিভুক্ত করা, সফটওয়্যার তৈরি ও স্থানীয় বাজারে বিক্রয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া, ট্রান্সফার প্রাইসিং বিষয়ে সঠিক নীতিমালা প্রণয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বেসিস-এর প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বেসিসের এসব প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে শোনেন ও এসব প্রস্তাবসমূহ সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement