খেলাধুলা

তামিমের এক হাতে নেমে পড়ার পেছনের গল্প

‘আমি যাবো, গিয়ে শেষ বলটা খেলবো’- দলের সিদ্ধান্ত ছিল যদি নবম উইকেট পতনের পরে মুশফিকুর রহীম স্ট্রাইকে থাকেন তাহলে ভাঙা কবজি নিয়েই নেমে যাবেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান রানআউট হওয়ার সময় দেখা গেল নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে মুশফিক।

Advertisement

তখনো সে ওভারের বাকি একটি বল। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অবস্থায় নামার কথা নয় তামিমের। চলে আসার কথা মুশফিকের। ড্রেসিংরুমে নেয়া দলের এ সিদ্ধান্ত জানার কথা নয় মুশফিকের। ফলে মোস্তাফিজ আউট হওয়া পর তিনিও হাঁটা ধরেন প্যাভিলিয়নের পথে। কিন্তু যেতে পারেননি বেশি দূর।

দলের সিদ্ধান্তে হালকা পরিবর্তন এনে তামিম নেমে যান ব্যাটিংয়ে। মোস্তাফিজ আউট হওয়ার পরে নিজ থেকেই বলেন, ‘আমি যাবো, গিয়ে শেষ বলটা খেলবো’। তামিম খেলেছেন সে ওভারের শেষ বলটা। এরপর মুশফিক খেলেছেন আরও ১৫টি বল। যোগ করেছেন ৩২টি মহামূল্যবান রান। বাংলাদেশ দল পেয়ে যায় ২৬১ রানের লড়াকু সংগ্রহ।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সার হুক করতে গিয়ে গড়বড় হয়ে যায় টাইমিংয়ে। ব্যাটের বদলে বল গিয়ে লাগে তামিমের বাঁ হাতে। সাথে সাথে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ছুটতে হয় হাসপাতালের পথে। হাতের স্ক্যান করে জানা যায় কবজিতে চিড় ধরা পড়েছে তার। কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ থাকতে হবে মাঠের বাইরে।

Advertisement

দলের সবাই তখন নিশ্চিত নামা হচ্ছে না তামিমের। কিন্তু মুশফিক-মিঠুনের ১৩১ রানের জুটির পরে হুট করেই ঘটে ছন্দপতন। দুইশো হতেই পড়ে যায় ৮ উইকেট। এরই মাঝে সিদ্ধান্ত হয় যদি নবম উইকেট পতনের পরে মুশফিকুর রহীম স্ট্রাইকে থাকেন তাহলে ভাঙা কবজি নিয়েই নেমে যাবেন তামিম ইকবাল।

এ কথা নিশ্চিত করেছেন তামিম নিজেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান মূলত মাশরাফির দেয়া আত্মবিশ্বাসের জোরেই নেমেছিলেন তিনি। তামিম বলেন, ‘মাশরাফি ভাই আত্মবিশ্বাস দিয়েছিলেন। বারবার আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। গ্লাভস কেটে তিনিই প্লাস্টার করা হাতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন।’

কিন্তু ৪৭তম ওভারে ঘটে বিপত্তি। নন স্ট্রাইকে থেকে যান মুশফিক। তবে সে ওভারে মাত্র একটি বল বাকি থাকায় নিজের ইচ্ছাতেই অসম সাহসিকতার প্রমাণ দেখিয়ে ব্যাট হাতে নেমে পড়েন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান।

এসএএস/পিআর

Advertisement