বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন ঊর্ধতন কর্মকর্তরা।মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সদর সাকের্লের এএসপি প্রশান্ত কুমার দে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে স্থানীয় ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে ইফতার পার্টির নামে চাঁদাবাজি, ইল্লা বাসস্টান্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক সরদারের দোকানঘর ভাঙচুর, টরকীচর এলাকায় কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের টেবিল বেঞ্চ ভাঙচুর ও ঈদে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে উপযোগী রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ওসি সাজ্জাদকে গত মাসে (১৬ জুলাই) গৌরনদী থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।ওইসব ঘটনা বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।গৌরনদী থানায় সাক্ষ্য দিতে আসা খাঞ্জাপুর ইউপি সদস্য আরজ আলী সরদার জানান, আমার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক সরদারের দোকান ঘর ভাঙার ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে এসেছেন তিনি। তিনি যা দেখেছেন তাই বলেছেন।থানায় সাক্ষ্য দিতে আসা মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, ওসি সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ইফতারের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগের সাক্ষ্য দিতে এসেছিলাম আমি। থানায় ৪ শতাধিক লোকের ইফতারের নামে আমার কাছ থেকে দারোগা হারুনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় ওসি সাজ্জাদ। আমি ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা রাজু আহম্মেদ হারুন, শাহজাহান প্যাদা, মোশারফ হাওলাদার, কাপড় ব্যবাসয়ী ভোলা সাহা, ইউপি সদস্য মো. মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক সরদারসহ ৭ জনে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে পিকলু জানান।গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করছেন ঊর্ধতন কর্মকর্তরা।এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে জানান, বিভিন্ন পেপার কাটিং এর সত্যতা যাচাই করা দেখা হচ্ছে। এ কারণে ৬/৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি
Advertisement