খেলাধুলা

তামিম মাঠে নামতেই সাহস বেড়ে গিয়েছিল : মুশফিক

তামিম ইকবাল স্লিং থেকে হাত খুলে, গ্লাস কেটে সেট করে হাতে লাগিয়ে মাঠে নামবেন, এটা কল্পনাও করতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। মোস্তাফিজুর রহমান যখন রানআউট হয়ে গেলেন, তখন বাংলাদেশের রান ২২৯। ওই অবস্থায় বাংলাদেশের স্কোর শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ানোর কথা ২৩০ রানের। খুবই সহজ লক্ষ্য হয়তো হতো।

Advertisement

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠে নামলেন তামিম। ব্যাট করলেন এক হাতে। সঙ্গ দিলেন মুশফিককে। যে উদ্দেশ্যে মাঠে নামা, সেটা পুরোপুরি করে দিয়েছিলেন মুশফিক। ৩২ রান যোগ করেছেন তিনি। মারমুখি ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন ২৬১ রানের চ্যালেঞ্জের চূড়ায়।

মূলতঃ তামিম মাঠে নামতেই পুরো দলের মধ্যে সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের প্রবল স্রোত বয়ে গিয়েছিল। সেই স্রোত কেটে শ্রীলঙ্কার তীরে পৌঁছা অসাধ্য। তামিম মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই জয় লিখা হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। প্রতিটি ক্রিকেটারের হৃদয়েই গেঁথে গিয়েছিল, তামিম পারলে আমরা কেন পারবো না। তামিমের জন্য হলেও পারতে হবে।

ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার উঠেছে মুশফিকের হাতে। ওই সময় কথা বলতে এসে মুশফিক জানালে শেষ মুহূর্তে বীরোচিত ব্যাটিংয়ের রহস্যের কথা। জানিয়ে দিলেন, তামিম মাঠে নামতেই নাকি তার সাহস আরও বেড়ে গিয়েছিল।

Advertisement

পাঁজরের ব্যাথা নিয়ে খেলেছিলেন মুশফিকও। বার কয়েক তাকে দেখা গেছে হাত দিয়ে পাঁজর চেপে ধরতে। সে জায়গায় তিনি খেললেন ১৪৪ রানের ইনিংস। অসাধারণ তো বটেই। তবে আলোচিত হয়ে থাকবে তার শেষ মুহূর্তের মারকুটে ব্যাটিং। সে জন্য ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেন, ‘যখনই তামিমকে দেখলাম ব্যাট হাতে মাঠে নামছে, তখনই আমার সাহস বেড়ে যায়। মনে মনে সংকল্প করে ফেললাম, তার জন্য এবং দেশের জন্য কিছু করে দেখাতে হবে আমাকে।’

এইটাকেই নিজের সেরা ইনিংস হিসেবে উল্লেখ করলেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটাই আমার সেরা ব্যাটিং। কারণ, আমার শট খেলা এবং উইকেটের মধ্যে দৌড়ানো- দুটোই ছিল বেশ কষ্টকর।’

আইএইচএস/

Advertisement