নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরা এলাকার ৯নং সেক্টরের ১১ নং ব্রিজের নিচ থেকে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছে পুলিশ।
Advertisement
পরস্পর যোগসাজশে হত্যার পর মরদেহ গুমের অপরাধ এনে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে শনিবার দুপুরে এ মামলা করেন।
সফিউদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি স্পেশাল ডিউটি করার সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জানতে পারেন পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরায় ১১নং ব্রিজের নিচে ৩টি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে আছে। ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান তিনটি মরদেহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আছে। প্রাথমিকভাবে এলাকার লোকজন তাদের চিনতে না পেরে ফেসবুক, ইমো ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে।
এর মধ্যেই তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলেন ঢাকার মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে সোহাগ (৩২), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার গোরেলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শিমুল আজাদ ও মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আ. ওহাবের ছেলে নূর হোসেন বাবু।
Advertisement
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাত আসামিরা তাদের হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরা এলাকার ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। মৃত ব্যক্তিদের পক্ষে কেউ অভিযোগ না দেয়ায় এসআই সফিউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত সোহাগের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মাদক মামলা রয়েছে। শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করেননি কেন জানতে চাইলে নিহত শিমুল আজাদের স্ত্রী আয়শা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
Advertisement
মীর আব্দুল আলীম/এএম/আরআইপি