ট্রেনযাত্রায় প্রথম নির্বাচনী কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত। নেতারা বলছেন, ট্রেনযাত্রার প্রতিটি কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত লোক সমাগম তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।
Advertisement
ঢাকা থেকে নীলফামারী পর্যন্ত ১৭টি পথসভা হয়েছে। এসব পথসভায় সর্বোচ্চ এক লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ হাজার লোক সমাগম হয়েছে। নেতারা বলছেন, অতিরিক্ত কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই মানুষের এই ঢেউ, এত উচ্ছ্বাস-আনন্দ প্রমাণ করে শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রেনযাত্রার এই কর্মসূচি সফল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের সামনে প্রচুর সংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক থাকার কারণে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা এসেছেন কার্যালয়ে।
দলের একটি সূত্র জানায়, সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন নেতা ট্রেনযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন। তাদের ভাষায়, একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সফল কর্মসূচি হয়েছে। অফিসের বাইরেও অনেক নেতাকর্মী জটলা পেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের আলোচ্য বিষয় উত্তরবঙ্গের ট্রেনযাত্রা কর্মসূচি। তাদের ভাষায়, এ ধরনের কর্মসূচি দেশব্যাপী করা উচিত। তারা এটাও বলাবলি করছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল জেলা শহরে গেলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ ধরনের কর্মসূচি দলের জন্য ইফেকটিভ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ট্রেনযাত্রায় ১৭টি পথসভা অনুষ্ঠিত হযেছে। এসব পথসভায় সর্বোচ্চ এক লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে। এত বড় একটি কর্মসূচি পালন হলো, তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না। একটি অত্যন্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সফল কর্মসূচি হয়েছে। বিএনপি হলে এ ধরনের কর্মসূচি কখনওই এত সুন্দরভাবে পালন করতে পারত না।’ দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এমনিতেই দলের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীগণ যার যার নির্বাচনী এলাকায় কর্মীদের নিয়ে কাজ করছেন । কেন্দ্রীয় নেতাদের বিশাল টিম একটি এলাকায় গেলে সে এলাকার লোকজন অত্যন্ত আনন্দিত হয়। ট্রেনযাত্রায়ও তাই হয়েছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সঙ্গে আমরাও খুশি সফল একটি কর্মসূচি পালিত হওয়ায়।
এফএইচএস/এসআর